AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TV9 Impact: TV9 বাংলার চেষ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হল মুসকান, মিলল মাধ্যমিক পরীক্ষার সুযোগও

TV9 Impact: সারারাত যন্ত্রণায় কাতরেছে মুসকান। তবু পরীক্ষা দেওয়ার অদম্য ইচ্ছা ছিল তার। TV9 বাংলার সাহায্যে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় সে।

TV9 Impact: TV9 বাংলার চেষ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হল মুসকান, মিলল মাধ্যমিক পরীক্ষার সুযোগও
রাতভর হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হয় মুসকানকে
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2022 | 2:18 PM
Share

কলকাতা : কোনও রকমে পেটে সেলাই করা গেলেও ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করেনি হাসপাতাল। সারা রাত হাসপাতালের বাইরে শুয়ে কাতরাতে হয়েছে মুসকানকে। শনিবারের পরীক্ষায় না বসতে পারলে নষ্ট হত একটা বছর। একদিকে প্রবল যন্ত্রণা আর অন্যদিকে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়ে মেটিয়াবুরুজের এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। চিকিৎসা আর পরীক্ষা দুটো নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয় পরিবারের। অবশেষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেল মুসকান। TV9 বাংলার সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তিরও ব্যবস্থা হয়েছে। কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে পরিবারের।

মেটিয়াবুরুজের মিঠাতলা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মুসকান নামে ওই পড়ুয়ার পরিবারের ওপর হামলা চালায় এক ব্যক্তি। পরপর ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে পরিবারের সদস্যদের। গুরুতর আহত হন মুসকান ও তার পরিবারের আরও দুই সদস্য। রাতেই এসএসকেএমের এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার শরীর। সেখানে পেটে সেলাই পড়ে। আশঙ্কা কাটে ঠিকই, কিন্তু পরবর্তী চিকিৎসা আর মেলেনি। রাতভর বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় গোটা পরিবারকে।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় লড়াই। মুসকান ও তা দাদার ভর্তির ব্যবস্থা করতে হাসপাতালে হাসপাতালে ছোটে তার পরিবার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সেখানেও জায়গা হয়নি। পরে তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। TV9 বাংলার সহযোগিতায় তার ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে তার সিটি স্ক্যান ও রক্ত পরীক্ষাও হয়। কিন্তু পরীক্ষা? সেটার কী হবে?

আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় TV9 বাংলা। যোগাযোগ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে। এরপরই পর্ষদের আধিকারিক আসেন হাসপাতালে। মুসকানের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের সিক বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। মেয়েকে পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ায় খুশি মুসকানের বাবা। মুসকান নিজেও জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিতে পেরে সে খুব খুশি, নাহলে তার একটা বছর নষ্ট হত।

শনিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনাটি ঘটে মেটিয়াবুরুজের রাজাবাগান থানা এলাকায়। আহত হন মহম্মদ জমিম, মহম্মদ আসরাফ ও মুসকান খাতুন। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মুসকান সহ দুই মহিলার ক্ষতস্থানে সেলাই করার পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর তাঁদের ভর্তির প্রয়োজন না থাকায় ছুটি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : Bomb at Bhatpara: অর্জুনের বাড়ির কাছেই তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে উদ্ধার বাক্স ভর্তি বোমা