মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলেজের অধ্যাপকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 27, 2021 | 8:29 PM

লালবাজারে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে মামলা।

মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলেজের অধ্যাপকের
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা চলাকালীন এই মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই লালবাজারে অভিযোগ জানানোর তোড়জোর শুরু হয়েছে।

অভিযোগকারীদের একজনের বক্তব্য, “আমাদের চেনা একজনের পোস্ট দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটা খুবই বিতর্কিত। সেখানে মন্তব্য করা হয়েছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি।” জানা গিয়েছে, জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি কলেজে পড়ান।

অভিযোগকারী তমাল দত্ত ও দেবর্ষি রায়ের বক্তব্য, এই প্রথমবার নয়। ওয়েবকুটার সদস্য ওই অধ্যাপক একাধিক বার এ ধরনের বিতর্কিত কথাবার্তা বলেন। ভোটের আগে এরকম একটি মন্তব্য হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ওই অধ্যাপক করেছিলেন বলে অভিযোগ। ফলে সেটি সে অর্থে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু এবার সরাসরি ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য করায় শুরু হয় হইচই।

অভিযোগকারীরা জানান, বুধবারই একটি পোস্ট অভিযুক্তের নানা তীর্যক মন্তব্য আসছিল। সমস্ত ক্ষেত্রেই অধ্যাপকের নিশানায় ছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই অধ্যাপকের এক পরিচিত তাঁকে ভোটের আগে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে লেখা মেসেজটি স্মরণ করিয়ে দেন। জানতে চান, এখনও মানসিকতা একইরকম রয়ে গিয়েছে। তারই প্রত্যুত্তরে অভিযুক্ত অধ্যাপক প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যটি লেখেন।

অভিযোগকারীদের বক্তব্য, একজন অধ্যাপক যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করেন, তা হলে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ থাকে। এরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন লালবাজারে বিষয়টি জানাবেন। এখানে উল্লেখযোগ্য মূল অভিযোগকারী তমাল দত্ত নিজেও বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজেরই একজন স্কলার। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভোটের আগে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। সে পর্ব মিটিয়ে ফেরার পথে সোনাচূড়া মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর পর গাড়িতে বিরুলিয়া বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সেদিন তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, চক্রান্ত করে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারতেই এ ভাবে হামলা বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। নন্দীগ্রামের ঘটনার আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন সময় তাঁকে মারার চেষ্টার চক্রান্ত হয়েছে বলে প্রকাশ্যে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে অধ্যাপকের এই হুমকি পোস্ট ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন: বোমা লেগেছিল মাথায়, লুটিয়ে পড়েছিলেন বিজেপির জয়প্রকাশ! আজ ফের তদন্তে সিবিআই

Next Article