বোমা লেগেছিল মাথায়, লুটিয়ে পড়েছিলেন বিজেপির জয়প্রকাশ! আজ ফের তদন্তে সিবিআই

Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ঘিরে আপাতত শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দলের নেতাদের।

বোমা লেগেছিল মাথায়, লুটিয়ে পড়েছিলেন বিজেপির জয়প্রকাশ! আজ ফের তদন্তে সিবিআই
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 3:22 PM

সুজয় পাল, ব্যারাকপুর : ভাটপাড়ায় বোমার আঘাতে নিহত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ যাদবের বাড়িতে ফের সিবিআই। শুক্রবার ফের জয়প্রকাশের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং ইউনিটের কর্তারা এদিন যান। তিন কর্তার সঙ্গে ছিলেন একজন মহিলা পদাধিকারীও।

গত ৬ জুন, ভাটপাড়া এক নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তারপুর এলাকায় বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হেঁটে বাড়িতে এসে তাঁকে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। চার-চারটি বোমা মারা হয়। বোমার স্প্লিন্টারে় মাথা ফেটে যায় জয়প্রকাশের। মৃত্যু হয় তাঁর বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে সেই ঘটনার তদন্তে জয়প্রকাশ যাদবের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের চারজনের এই দল। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলে তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও রেকর্ড করে। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল তার বিবরণীও নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা।

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ঘিরে আপাতত শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দলের নেতাদের। এই ঘটনায় শাসকদলের কর্মকর্তাদেরই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও আদালতে সরব হয় তারা। রাজ্য পুলিশ তদন্ত করলে এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যাবে না বলে দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা। প্রথম থেকেই সিবিআই বা অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করুক বলে দাবি তাঁদের। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটেছে সে সময় রাজ্যে নির্বাচনী বিধি বলবৎ ছিল। ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব তখন নির্বাচন কমিশন সামলেছে, রাজ্য সরকার নয়।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট সেই দাবিতেই মান্যতা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ভোট পরবর্তী হিংসা বিষয়ক অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে সিটও। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন এক বিচারপতি এই সিটের তদন্তের গতিতে নজর রাখবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সিবিআইয়ের তদন্তের সমস্ত তথ্য আদালতকেই জানাতে বলা হয়েছে।

এদিকে তদন্তভার পেতেই নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজিয়েছে সিবিআই। চারটি দল তৈরি করেছে তারা। তদন্তের স্বার্থে চারটি জ়োনে ভাগ করেছে রাজ্যকেও। সেই মতো চার দলের সদস্যরা তদন্তে নেমেছেন। চার জ়োনে ক্যাম্প করে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

একটি ক্যাম্প হবে দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হবে। আরেকটি ক্যাম্প হবে কোচবিহারে। মূলত এই ক্যাম্প থেকে উত্তরবঙ্গে তদন্ত চলবে। কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নিয়মিত তদন্ত চালানো, আক্রান্ত কিংবা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সময় সাপেক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবারই নিজস্ব ফরেনসিক টিম নিয়ে নিহত বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবের বাড়িতে যান সিবিআই কর্তারা। কথা বলেন মৃতের পরিবারের সঙ্গেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। সম্ভাব্য সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য় প্রমাণ এদিন একত্রিত করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এলাকাবাসীর থেকেও খোঁজ খবর নেন। শুক্রবার ফের একটি দল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। আরও পড়ুন: বড় খবর! মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলেজের অধ্যাপকের