Suvendu Adhikari: অভিষেকের বাবার করা মানহানির মামলায় স্বস্তি শুভেন্দুর, দিতে হবে না হাজিরা
Suvendu Adhikari: অভিযোগ নাম না করে অমিত অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাজিরার ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়ের করা মানহানি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ মে শুভেন্দুর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার সেই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ফলে আর হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে।
অভিযোগ নাম না করে অমিত অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন’। তবে কারও নাম নেননি তিনি। তাঁকেই নিশানা করা হয়েছে, এমন দাবি করে প্রথমে ক্ষমা চাওয়ার নোটস দিয়েছিলেন অভিষেকের বাবা। পরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক ক্ষমা না চাওয়ায় মানহানির মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
বাংলার রাজনীতিতে নাম না করে আক্রমণ করার নজির রয়েছে অনেক। প্রতিনিয়ত নেতা-মন্ত্রীরা আকারে-ইঙ্গিতে আক্রমণ শানিয়ে থাকেন বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। তেমনই এক মন্তব্যে অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।
গত বছরের ২০ জুন একটি সভায় শুভেন্দু ওই মন্তব্য করেন। অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেন, ওই মন্তব্য তাঁকে উদ্দেশ্য করেই করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর ফলে সাধারণ নাগরিক হিসাবে তাঁর সুনাম নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছিলেন তিনি।
অমিত আইনজীবী মারফত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে নোটিস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও জবাব আসেনি। এরপরই হয় মামলা। সেই মামলায় এজলাসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল শুভেন্দুকে।