‘যা দেখেছি, তাতে যে কোনও মানুষ কেঁপে উঠবে’, শাহি-সাক্ষাৎ সেরে বললেন ধনখড়
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর পর দু'বার অমিত শাহের বৈঠক সারলেন জগদীপ ধনখড়।
নয়া দিল্লি: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরপর দু’বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাংলার ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে বিগত একমাসেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ উদ্বিগ্ন হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাই তাঁর দিল্লি সফরেও সেই ইস্যুই যে মূল আলোচ্য হয়ে উঠবে, সেই ধারনা আগে থেকেই করা গিয়েছিল। এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক সেরে বেরিয়ে ফের বাংলার পরিস্থিতির জন্য উৎকন্ঠা শোনা গেল ধনখড়ের গলায়।
গত কয়েক দিন দিল্লি সফরে গিয়ে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে অমিত শাহের সঙ্গে ধনখড়ের কথা হয়েছে।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে ধনখড় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্যের কাজ হল আইন- শৃঙ্খলা মজবুত করা। আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে বা সংবিধানের সঙ্গে আপোষ করতে পারি না, আইন নিয়েও আপোষ করতে পারি না।’ তাঁর দাবি, নির্বাচন পরবর্তী হিংসার যে ছবি তা স্বাধীনতার পর আর কোথাও দেখা যায়নি। রাজ্যের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে যা দেখেছি, তাতে মানুষের অবস্থা মুখে বলা যায় না। এই অবস্থা দেখলে যে কোনও মানুষের বুক কেঁপে উঠবে। তাঁর আরও দাবি, ‘বাংলায় হিংসা থামার কোনও লক্ষণই নেই।’
আরও পড়ুন: একটি নয়, দুটি নয়, বাড়ি জুড়ে ১৮টি সিসিক্যামেরা! কার উপর নজর রাখত আসিফ?
দিন দুয়েক আগেই দিল্লি পৌঁছেছে অমিত শাহের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যপাল। প্রায় দেড় ঘণ্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। সে দিনও যে আলোচনার প্রসঙ্গে যে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ ছিল, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। সঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ধনখড়। সেই জায়গা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বিতীয় বৈঠক নিঃসন্দেহে আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে এসে্ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা।