
কলকাতা: রাজ্যে অমিত শাহ। ছাব্বিশের ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির রোড ম্যাপ তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি। গতকাল এ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন। এরপর বুধবারও আবারও দলীয় নেতাদের নিয়ে কোর কমিটির বৈঠক করেছেন। তবে, এ দিনের সভায় রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
বৈঠক থেকে কী বার্তা দিলেন অমিত শাহ?
পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, এ দিন বিজেপি নেতাদের অমিত শাহ বার্তা দিয়েছেন যাতে নিজের-নিজের এলাকায় আরও বেশি করে সময় দেন বিজেপি নেতারা। অর্থাৎ পাড়ায় জনসংযোগে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও নির্দেশ দিয়েছেন, শুধু নিজের এলাকায় সময় দিলেই হবে না, পাশের এলাকাও জেতাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।
এ দিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক থেকে ঠিক করে দিয়েছেন বিধায়কদের একদিনে কটা করে সভা করতে হবে। তাঁর নির্দেশ, এক-একদিনে পাঁচ থেকে ছ’টি করে সভা করতে হবে। অর্থাৎ স্থানীয় ক্ষেত্রে প্রচারের মাত্রা যে আরও বাড়াতে হবে তাই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে বিধায়কদের ক্ষেত্রে সভার সংখ্যা ঠিক করে দেওয়া হলেও, সাংসদরা কটা করে সভা করবেন তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
সামনেই রয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক। ফলে সেই সময় মাইক বন্ধ থাকবে। তখনও যাতে প্রচার বন্ধ না থাকে সেই বার্তাও দিয়েছে অমিত। তাঁর নির্দেশ, এই সময়টা কর্মীদের বাড়িতে যেতে হবে। যে কর্মীর ক্ষোভ রয়েছে অভিযোগ রয়েছে-অনুযোগ রয়েছে তাঁদের কাছে যেতে হবে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে চা পান করতেও বলেছেন তিনি। এমনকী, সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে।
কোন-কোন বিষয় নিয়ে প্রচার?
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রচারে মোট দু’টি বিষয়ে জোর দিতে বলছেন অমিত শাহ। একটি হল অনুপ্রবেশ অন্যটি অনুপ্রবেশকারী মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি নিয়ে। শাহের স্পষ্ট নির্দেশ এই দুই ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে প্রচারে। এখানে উল্লেখ্য, অমিত শাহ নিজেও গতকাল সাংবাদিক বৈঠক থেকে বারেবারে সরব হয়েছিলেন অনুপ্রবেশ ইস্যুতে। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই অনুপ্রবেশকারীদের জন্যই ক্রমেই বাংলার ডেমোগ্রাফি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা হচ্ছে।
অমিত শাহ গতকাল বলেছিলেন, “ভৌগোলিক দিক থেকে কঠিন হওয়ায়, সীমা থেকে পেরিয়ে আগে অনুপ্রবেশকারী বাংলায় ঢোকে! থানার পুলিশ কী করছে? অসম, ত্রিপুরা কীভাবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হল? বাংলায় কেন হল না? বাংলার ডেমোগ্রাফি ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা হচ্ছে।”