
কলকাতা: চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে পোস্টিং দিতে হবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেই। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রায় বহাল রাখল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২৪ শে সেপ্টেম্বরের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। পোস্টিং বিতর্কে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অনিকেত মাহাতো।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পরিবর্তে অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ পোস্টিং দেওয়া হয়। ২৭ মে ‘ ২০২৫ এই পোস্টিং সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অনিকেত মাহাতো দাবি করেন, যে তার র্যাঙ্ক ২৪ । আরজি কর হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগে ৪ টি শূন্যপদ আছে। তার মধ্যে ১ টি শূন্যপদে মেধাতালিকায় অনিকেতের আগে থাকা একজন চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে।
২টি শূন্যপদে ২৬ এবং ৩৪ র্যাঙ্ক করা দুই চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ অনিকেত নিয়োগ পাননি। ৮৭১ জনের মধ্যে ৮৬৯ জনের পোস্টিং SOP(Standard Operating Procedure) মেনেই হয়েছে। কিন্তু অনিকেত মাহাতো সহ দুজন চিকিৎসকের ক্ষেত্রে SOP মানা হয়নি। রাজ্য এর কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। – পর্যবেক্ষনে জানান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণে বলেন, SOP তৈরিই করা হয় যাতে প্রত্যেকে সমানাধিকার পান। SOP কে মান্যতা না দিয়ে রাজ্য সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে(সমানাধিকার সংক্রান্ত ধারা)অমান্য করতে পারে না।
চলতি বছরে তিন চিকিৎসকের প্রথম পোস্টিংয়ের জায়গা বদল নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া ও দেবাশিস হালদার, তিন জনই আরজি কর আন্দোলনের মুখ। কাউন্সেলিংয়ে দেবাশিস হালদারকে মালদার গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও আসফাকুল্লাকে পুরুলিয়ায় পাঠানো হয়। এই বদলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আসফাকুল্লা ও দেবাশিস একই সঙ্গে আদালতে যান। তবে একই সঙ্গে নতুন হাসপাতালে কাজে যোগও দেন তাঁরা। অনিকেত নতুন পোস্টিং গ্রহণ করেননি, তিনি কাজে যোগও দেননি।