রুদ্রর সঙ্গে ছবি, বাড়িতে বিজেপির ‘সদস্যতা’ রসিদও! ধৃত সনাতন যেন দ্বিতীয় দেবাঞ্জন
Fake Officer Kolkata: ধৃতের নাম সনাতন সনাতন রায়চৌধুরী। নিজেকে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বলে তিনি পরিচয় দিতেন।
কলকাতা: যেন দেবাঞ্জন দেব পার্ট ২। জালিয়াতির জাল গোটাতে নেমে আরও এক জালিয়াতের হদিশ পেল পুলিশ। ভুয়ো আইএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের পর এ বার আরেক ভুয়ো সরকারি আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে নীল বাতি গাড়ি-সহ সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে গড়িয়াহাট এলাকা থেকে। ধৃতের নাম সনাতন সনাতন রায়চৌধুরী। নিজেকে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বলে তিনি পরিচয় দিতেন। গ্রেফতারির পর তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের ছবি মেলে। এমনকী, প্রতারকের বাড়ি থেকে বিজেপির সদস্যতার রসিদও মিলেছে।
এই নতুন জালিয়াতের জালিয়াতির তালিকাও নেহাত কম নয়। গড়িয়াহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির সইও জাল করেছিলেন সনাতন। সই এবং সিল জাল করে ভুয়ো কোর্ট অর্ডার বের করার পাশাপাশি করে জাল নথির মাধ্যমে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করার অভিযোগও উঠেছে বরাহনগরের বাসিন্দা সনাতনের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ জানিয়েছেন, “ছবিটা দেখে যতদূর মনে করতে পারছি তা হল- বছর পাঁচেক আগে এই ভদ্রলোক আমায় ফুল দিতে এসেছিলেন। অভিনেতা হিসেবে আমার অনুরাগী ছিলেন। উনি সেই সময় শুধু পরিচয় দিয়েছিলেন নিজেকে আইনজীবী হিসেবে। সিবিআই আইনজীবী না কোন আইনজীবী তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাইনি। এই ধরনের বিষয়ে যদিও সহযোগিতা করার প্রয়োজন হয় আমি তৈরি আছি।”
আরও পড়ুন: তালতলার ওসিকে ফোন করে এমন পদের কর্তা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সনাতন তা আদতে নেই-ই! তখনই রুজু মামলা
তবে নতুন এই প্রতারক ধরা পড়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় মেতে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপি। শাসকদলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “বিজেপিকে বলতে হবে কীভাবে জালিয়াতদের বাড়িতে তাদের সদস্যপদ, এবং কীভাবে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে তাদের ছবি পাওয়া যায়। বিজেপি এমন সব লোক নিয়েই দল তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এখন সামনে আসছে।” পালটা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের তোপ, “সারদা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যখন টাকায় টান পড়েছিল তখন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা ভুয়ো অফিসার তৈরির কারখানা বানান। তারই পরিণতি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে ভুয়ো অফিসার।”
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বাবা তুলে কথা নৈহাটির বিধায়কের, ‘অসংসদীয় শব্দ’ অধ্যেক্ষর কাছে বাদ দেওয়ার দাবি শুভেন্দুর