Anubrata Mondal: বুকে হাত দিয়ে ঢুকেছিলেন সিবিআই দফতরে, বেরিয়েই উডবার্নে ভর্তি হলেন কেষ্ট
Kolkata: এর আগে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর উকিল মারফৎ সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, আজ তাঁকে SSKM-এ যেতেই হবে শারীরিক পরীক্ষার জন্য।

কলকাতা: ছ’বারের হাজিরা এড়িয়ে অবশেষে বুকে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধে ভর দিয়ে নিজাম প্যালেসে ঢুকেছেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতা। সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান তিনি। সাড়ে দশটায় আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সময়ের কিছুটা আগেই সহায়কদের হাত ধরে নিজাম প্যালেসের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি জেরার পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান কেষ্ট। এরপর সোজা রওনা দেন SSKM-হাসপাতালের পথে।
সূত্রের খবর, এর আগে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর উকিল মারফৎ সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, আজ তাঁকে SSKM-এ যেতেই হবে শারীরিক পরীক্ষার জন্য। সেই মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস থেকে সোজা রওনা দেন হাসপাতালের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে তৃণমূল নেতার কনভয় দাঁড়ায় ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের সামনে।
এদিকে, তৃণমূল নেতাকে দেখার জন্য উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষদের মধ্যে। যেহেতু নেতার হাসপাতালে আসার খবর তাঁদের মধ্যে ছিল না, সেই কারণে হঠাৎ তাঁকে দেখে কিছুটা থতমত খেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে কিছুক্ষণ ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে থাকার পর ফের বেরিয়ে যান তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, সেই সময় খানিকটা হাঁপাতে দেখা যায় তাঁকে। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে তাঁর গাড়ি রওনা দেয় উডবার্ন ওয়ার্ডের দিকে। বর্তমানে সেখানেই ভর্তি কেষ্ট।
বস্তুত, এর আগে একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই। গত ৬ এপ্রিলও তলব করা হয় তাঁকে। আগের দিন বীরভূম থেকে কলকাতায় পৌঁছলেও পরের দিন নিজাম প্যালেসে যেতে পারেননি তিনি। অসুস্থ বোধ করায় অনুব্রত ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তখনই তৃণমূল নেতা সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, ২১ মে-র পরে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।
গরুপাচার কাণ্ড থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব করলেও, অসুস্থতার কারণে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি।
বস্তুত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করা যাবে না, তাঁর আইনি রক্ষাকবচ রয়েছে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় নেই। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে অনুব্রত যদি সিবিআই হাজিরা ক্রমাগত এড়াতে থাকেন, তাহলে গ্রেফতারির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগ না ওঠে। শারীরিক পরীক্ষার দিনই সিবিআই দফতরে এসে বুঝিয়ে দিলেন এখনও সুস্থ নন তিনি।





