মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা, তৃণমূলের পথে শিখা-রোহন?
পদত্যাগ পত্রের ছত্রে ছত্রে অধীর চৌধুরীকে বিঁধেছেন রোহন।
কলকাতা: বিরোধী দলনেতার তকমা হারাতে পারেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই জল্পনার মাঝেই কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র। একেবারে কড়া চিঠি দিয়ে অধীর চৌধুরীকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাহলে এ বার কোন পথে রোহন? কয়েকদিন আগেই সোমেন জায়া শিখা মিত্র বলেছিলেন, একমাত্র মমতাই এখন বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ। তাহলে কি তৃণমূলের পথে পা বাড়াবেন শিখা-রোহন?
শিখা মিত্রের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তবে এই মুকুল-কথায় রাজনীতির যোগসাযোগ নেই। নেহাত স্ত্রী বিয়োগের পর মুকুল রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি শিখা ঘনিষ্ঠ মহলের। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের গলায় অন্য সুর। কারণ, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় নাম এসেছিল শিখা মিত্রের। চৌরঙ্গী বিধানসভায় বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোন এনে প্রার্থী হননি শিখা। ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তৃণমূলের প্রতি কিছুটা হলেও নরম তিনি। শিখার সেই দিকটা এর আগেও ধরা পড়েছে। রোহন মিত্রও জানিয়েছেন, তিনি আর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখতে চাই না। প্রদেশ কংগ্রেসটা ‘অধীর সেনা’ হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। রোহন বলেন, “বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির রাজনীতি যায় না। মালদা মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের লোকেরাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।” যেখান থেকে জোরাল হচ্ছে শিখা-রোহনের তৃণমূলে আসার সম্ভাবনা।
অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ আনলেও দল ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন রোহন। আবার সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর এই মূহুর্তে প্রদেশ কংগ্রেস যোগ্যতম নেতা অধীরই, এ কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন রোহন। তাই শিখা-রোহনের গতিবিধি তৃণমূলের অনুকূল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। সেই মতো আরেক অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতার স্ত্রী-পুত্র তৃণমূলে আসেন কি না, সেটাই দেখার। এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অধীরের। আরও পড়ুন:কথা হয়েছে পিকের সঙ্গে, এক ঢিলে সব ‘ক্ষোভ’ মারতে চায় তৃণমূল