
কলকাতা: প্রথমে শুভেন্দু, তারপর অর্জুন সিং। একই বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন দুই বিজেপি নেতা। শুক্রবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর মামলায় বিপাকে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে পাল্টা তদন্তের মুখে পড়ে গেলেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চে একটি গুলি চালানোর মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। কিন্তু অর্জুনের আর্জি শুনল না আদালত। উল্টে তাঁকে ঠেলে দিল তদন্তের পাকেচক্রে। এদিন বিজেপি নেতার আর্জি খারিজ করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মার অধীনে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে আগাম জামিনের সুযোগও থাকছে অর্জুনের।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ‘রক্ষাকবচ’ চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অর্জুন সিং। পুলিশি গ্রেফতারি থেকে ‘রক্ষা’ পেতে বিচারপতি শম্পা দত্তের বেঞ্চে আবেদন জানান তিনি। মূলত ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বিভিন্ন থানায় অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্ধশত এফআইআর-র ভিত্তিতেই এই ‘রক্ষাকবচ‘ চেয়েছিলেন তিনি। যাতে অনুমোদন দেয় আদালত। কিন্তু ‘গ্রেফতারি‘ আটকালেও, তদন্ত আটকানো সম্ভব হল না।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই ব্য়ারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতার অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত। গত মার্চ জগদ্দলের এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন সেই ঘটনাতেই নতুন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।