Kolkata Police: মঞ্চ সংঘাতের পর এবার রাজপথে সেনার ট্রাক আটকাল কলকাতা পুলিশ
Kolkata Police: পুলিশ সূত্রে খবর, রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনার ট্রাকটি থামিয়েছে ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। খবর দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন সেনা ট্রাক থামাতে গেল পুলিশ? কী দোষ করছিল তারা?

কলকাতা: সমাপতন নাকি সংঘাতের জের। সোমবার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে এসে মেয়ো রোডের উপর করা তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলল সেনা। আর ঠিক তারপর দিন, সেনার ট্রাক আটকাল কলকাতা পুলিশ। যা ঘিরে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় পড়ল শোরগোল। তাকিয়ে দেখল জনতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে সেনার ট্রাকটি থামিয়েছে ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। খবর দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন সেনা ট্রাককে থামাতে গেল পুলিশ? কী দোষ করছিল তারা? জানা গিয়েছে, বিপজ্জনক ভাবে আসছিল ট্রাকটি। মানেনি সিগন্য়ালও। সেই কারণেই ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে ট্রাকটিকে আটকায় কর্মরত ট্র্যাফিক কন্ট্রোলাররা।
সূত্রের খবর, ওই ট্রাকের পিছনেই আবার আসছিল কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার গাড়ি। লালবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সিপি। তবে নগরপালের গাড়ি যে তাদের ট্রাকের পিছনেই রয়েছে, তা জওয়ানরা জানতেন না বলেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের তোলা অভিযোগগুলিকেও নস্যাৎ করেছেন জওয়ানরা। এক জওয়ান জানিয়েছেন, “নগরপালের গাড়ি যে পিছনে ছিল, তা আমরা জানতাম না। আর ট্রাক অনেক ধীর গতিতেই চলছিল। এখানে যে একটা বিভাজন বা পার্টিশান রয়েছে, তা বোঝাই যায়নি। রেড লাইট ছিল, কিন্তু আমরা তো অন্যদিকে যাচ্ছিলাম।” তবে ওই রাস্তায় ডান দিকে গাড়ি ঘোরানো যায় না বলেই জানা গিয়েছে। এমনকি, সেই নিয়ে সতর্ক করতে একটি নো-রাইট টার্ন বোর্ডও লাগানো রয়েছে। আর সিসি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সিপির গাড়ি যখন জওয়ানদের গাড়িটিকে পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই জওয়ানদের ট্রাকটিকে ডান দিকে ঘুরে যায়। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় সিপির গাড়ি। আটকানোর হয় জওয়ানদের ট্রাক।
সেনা সূূত্রে খবর, আপাতত তৈরি হওয়া সমস্যা মেটাতে ফোর্ট উইলিয়ামের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ঘটনাস্থলে থাকা জওয়ানরা। তারপর তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় দুই সেনা আধিকারিক। সূত্রের খবর, জওয়ানদের বিরুদ্ধে সিপির গাড়ির একেবারে কাছে চলে আসার অভিযোগ করেছেন কর্মরত ট্র্যাফিক কন্ট্রোলাররা। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা জওয়ানদের দাবি, এমন কিছু হয়নি। আপাতত হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়েছেন সেনা আধিকারিকরা। চলছে আলোচনা।
