Aryan Khan: সত্যিই পর্ন ছবি বানাতেন? কী ছিল ‘ফিউচার প্ল্যানিং’? পুলিশকে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন আরিয়ান
Sodepur Case: বুধবার আরিয়ানকে জেরা করেই তাঁর মা শ্বেতা ওরফে ফুলটুসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় ৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা।

কলকাতা: বাঁকড়ার ঘটনায় অবশেষে অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরিয়ান ও তাঁর মা শ্বেতার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির কারবার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এক যুবতীকে বারে নাচতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সূত্র ধরেই মা-ছেলের কেলেঙ্কারি সামনে আসে। সেই যুবতী এখন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর, সেই যুবতী সম্পর্কে জেরায় মুখ খুলেছেন আরিয়ান। শুধু তাই নয়, পর্নোগ্রাফির ব্যবসা নিয়েও পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরিয়ান খান জানিয়েছেন, তাঁরা ওই মহিলাকে কোনও রকম মারধর করেননি। আরিয়ানের দাবি, ওই যুবতী বিবাহিত, তাঁর স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ছিল। এমনকী আহত ওই যুবতী আরিয়ানকে বিয়ে করতে চাইছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
তাহলে কেন বিয়ে করলেন না আরিয়ান? অভিযুক্তের যুক্তি, যুবতী হিন্দু, পাশাপাশি বিবাহিতও। এক সন্তানও আছে তাঁর। সেই কারণে আরিয়ান তাঁকে বিয়ে করতে বারণ করতে চাননি বলে দাবি। যুবতী নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলেও জানিয়েছেন আরিয়ান।
জেরায় আরিয়ান বলেছেন, ১০ দিন আমার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল ও। আমরা সিমলা, মানালি ও দিল্লি ঘুরে এসেছি। সেই সময় তো কোনও দাগ ছিল না মুখে। তাঁকে আটকে রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন আরিয়ান। তাঁর দাবি, বেড়িয়ে ফেরার পর স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন যুবতী। আরিয়ানের বক্তব্য, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়াতেই মুখে আঘাত লেগেছে।
উল্লেখ্য, যুবতী স্পষ্ট দাবি করেছেন যে আরিয়ান ও তাঁর মা শ্বেতা তাঁকে মারধর করতেন। বারে নাচতে না চাওয়ায় অত্যাচার করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। এমনকী তাঁর গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শ্বেতার বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবতীর কাটা চুল।
জেরায় পুলিশকে আরিয়ান বলেছেন, যুবতীর মুখে একটা দাগ হয়ে গিয়েছিল। পরে তিনি যখন শ্বেতাদের বাড়িতে ফেরেন, তখন নাকি তাঁর মুখে বারবার চুল পড়ছিল বলে তাঁর মা জিজ্ঞেস করেই ওই যুবতীর চুলটা কেটে দেন।
পর্নোগ্রাফির ব্যবসা নিয়েও মুখ খুলেছেন আরিয়ান। পুলিশকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোনও রকম পর্ন ভিডিয়ো বানাতাম না বা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্তও ছিলাম না। আমি মুম্বইতে এক জায়গায় কাজ করতাম। করোনার পরিস্থিতির পর আমি ওখান থেকে চলে আসি। এখানে আসার পর একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলি আর একটি প্রোডাকশন হাউজ তৈরি করি। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো নিজেরা নিজেদের টাকা দিয়ে তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতাম।’
আরিয়ান দাবি করেছেন, ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, ইউটিউবে ভাল কনটেন্ট দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা। বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, একথা বলেছেন আরিয়ান। তাঁকে জেরা করেই তাঁর মা শ্বেতাকেও বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।





