কেউ যেন সৌরভকে মানসিক চাপ না দেন, অশোকের মন্তব্যে জল্পনা

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যর হৃদ্যতা সকলেরই জানা। এ সম্পর্ক যে একেবারেই ব্যক্তিগত, বারবার তার প্রমাণও দিয়েছেন দুঁদে এই বাম রাজনীতিক এবং মহারাজ, দু'জনই

কেউ যেন সৌরভকে মানসিক চাপ না দেন, অশোকের মন্তব্যে জল্পনা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 03, 2021 | 12:37 PM

কলকাতা: দু’দিন আগেই সৌরভের বেহালার বাড়িতে গিয়েছিলেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। বলেছিলেন, “আমি চাই না তুমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হও।” রবিবার সৌরভকে উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে দেখে বেরিয়ে অশোকবাবু বলে গেলেন, সৌরভের শারীরিক অবস্থা এখন ভাল। তবে ওকে যেন কেউ কোনওরকম মানসিক চাপ না দেন। বারবার কেন এমনটা বলছেন সৌরভের ‘অত্যন্ত কাছের’ এই মানুষটি, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যর হৃদ্যতা সকলেরই জানা। এ সম্পর্ক যে একেবারেই ব্যক্তিগত, বারবার তার প্রমাণও দিয়েছেন দুঁদে এই বাম রাজনীতিক এবং মহারাজ, দু’জনই। দিন চারেক আগেই সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তার আগে সৌরভের রাজ্যপাল-সাক্ষাৎ, দিল্লি উড়ে যাওয়া, ফিরোজ শাহ কোটলায় অমিত শাহর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা চরমে ওঠে।

উডল্যান্ডস হাসপাতালে অশোক ভট্টাচার্য। রবিবার।

সৌরভের সঙ্গে সেদিনের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে উডল্যান্ডসে দাঁড়িয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “ওর বাড়িতে বসেই বলেছিলাম আমি চাই না তুমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হও। তোমার যা কাজ তুমি সেটাই কর। তোমার জনপ্রিয়তা সারা ভারতবর্ষে। সেটা কিন্তু ক্রিকেটের মধ্যে দিয়ে। রাজনীতি তোমাকে কিছু দিতে পারবে না, ক্রিকেটই দিতে পারবে।”

আরও পড়ুন: আপডেট: ভাল আছেন সৌরভ, ডোনাকে ফোন লতা, সচিনের

সে কথার রেশ ধরেই অশোকবাবু বলেন, “আমার একটাই কথা ওর উপর অহেতুক মানসিক চাপ যেন কেউ না দেয়। কখনও কখনও এটা কিন্তু হচ্ছে।” কিন্তু কে বা কারা এমনটা করছেন? অশোক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, “যেভাবেই হোক না কেন আমি বলছি এটা অ্যাভয়েড করতে। অনেকেই আসছেন, অনেকেই বলছেন অনেক কিছু, অনেক শুভাকাঙ্খী দেখছি। কোনও মানসিক চাপ পড়বে এরকম যেন না হয়। এদিকটা আমাদের সকলের খেয়াল রাখা উচিৎ। এখন আমরা সবাই চাই সৌরভ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক।”

অশোকবাবু জানান, শুক্রবার রাতেও তাঁর সঙ্গে সৌরভের ফোনে কথা হয়। এরপরই শনিবার সকালে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেড মিল করেন মহারাজ। তখনই হঠাৎ শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। ভেবেছিলেন বমি করলে বোধহয় একটু ভাল লাগবে। কিন্তু ক্রমেই চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে থাকেন। নিয়ে যাওয়া হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। অশোক ভট্টাচার্যর বুকেও স্টেন্ট বসানো রয়েছে। এদিন সৌরভকে সে কথাই বলে এসেছেন তিনি। তবে কোনওরকম মানসিক চাপই যেন সৌরভকে না দেওয়া হয় বারবার সে কথাই বলতে শোনা গেল সৌরভের ‘অশোকদা’কে।

যদিও এই ‘চাপ’ প্রসঙ্গে উডল্যান্ডসে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সৌরভ ভালো আছেন। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তবে রাজনৈতিক চাপ আছে কি না জানি না।”