মুলতুবি প্রস্তাব ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়
Assembly: বিজেপির এদিনের প্রথম বক্তা ছিলেন মিহির গোস্বামী। তিনি তাঁর বক্তব্যে রাজ্য সরকারকে নারী নির্যাতনের সরকার, কাটমানির সরকার শব্দবন্ধে বেঁধেন।
কলকাতা: মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিধানসভাতে তুমুল হট্টগোল বিজেপি বিধায়কদের। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। অধ্যক্ষ সে প্রস্তাব খারিজ করে দিতেই শোরগোল শুরু হয় অধিবেশন কক্ষে। দাঁড়িয়ে রীতিমতো স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম ভাগে রাজ্যপালের ভাষণের উপর জবাবি ভাষণ দেন বিধায়করা। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন কক্ষে ঢোকার পরই বিরোধী দলের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার কথা বলা হয়। অধ্যক্ষ পাল্টা পরামর্শ দেন, রাজ্যপালের ভাষণের উপর যখন তাঁদের বলার সময় আসবে তখন প্রস্তাবটি তাঁরা উত্থাপন করতে পারেন। এরপরই সেই মুহূর্তে মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন। যা ঘিরে হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: পটল-বেগুন কিনতেই হাতে ছ্যাঁকা! সকাল সকাল মানিকতলা, হাতিবাগান বাজারে ইবির হানা
পরে অধ্যক্ষের আবেদনেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিজেপির বিধায়করা নিজেদের মতো করে বক্তব্য শুরু করেন। বিজেপির এদিনের প্রথম বক্তা ছিলেন মিহির গোস্বামী। তিনি তাঁর বক্তব্যে রাজ্য সরকারকে নারী নির্যাতনের সরকার, কাটমানির সরকার শব্দবন্ধে বেঁধেন। এদিকে বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের বিরোধিতায় শাসকদলের বেঞ্চ থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। মিহির গোস্বামীর বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তার পরের বক্তা ছিলেন জুন মালিয়া।