Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পটল-বেগুন কিনতেই হাতে ছ্যাঁকা! সকাল সকাল মানিকতলা, হাতিবাগান বাজারে ইবির হানা

Price Hike: মূল্যবৃদ্ধির আঁচে জনজীবন তেতেপুড়ে যাচ্ছে। বাজারে ঢুকলে কাল ঘাম ছুটছে সাধারণ ক্রেতার।

পটল-বেগুন কিনতেই হাতে ছ্যাঁকা! সকাল সকাল মানিকতলা, হাতিবাগান বাজারে ইবির হানা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 11:26 AM

কলকাতা: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। একদিকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার কিনতে পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড়। তার উপর আবার বাজারে সবজির ঝাঁকায় হাত ছোঁয়ালে যেন ছ্যাঁকা লাগছে। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। পরিস্থতি সরেজমিনে দেখতে মঙ্গলবার বাজারে অভিযান চালালেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবির (EB) সদস্যরা। শ্যামবাজার, মানিকতলা, হাতিবাগানে হানা দেন ইবি আধিকারিকরা।

মূল্যবৃদ্ধির আঁচে জনজীবন তেতেপুড়ে যাচ্ছে। বাজারে ঢুকলে কাল ঘাম ছুটছে সাধারণ ক্রেতার। পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বরবটি, উচ্ছে কোনওটা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনওটা আবার কেজিতে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলছে। তার উপর কোনও কোনও বিক্রেতা আবার অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে আরও চড়াচ্ছেন দাম। ইতিমধ্যেই একাধিক বাজার থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এরপরই মঙ্গলবার সদলবলে সেখানে হাজির হয় ইবি।

ইবির ডেপুটি কমিশনার নিজে ঘুরে দেখেন বাজারগুলি। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। একইসঙ্গে কথা বলেন ক্রেতাদের সঙ্গেও। একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। বাজারগুলি ঘুরে তাঁদের পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট, একেকটি বাজারে একই সবজির দামের তফাৎ অনেকটা। এ নিয়ে তাঁরা সতর্কও করেছেন বিক্রেতাদের। যে দামে বিক্রেতারা সবজি কিনছেন, তার থেকে অতিরিক্ত বেশি দামে তা বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মাকে হারালেন শুভ্রাংশু, চেন্নাইয়ে প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী

মূলত এদিন উত্তর কলকাতার একাধিক বাজারে যায় ইবি-এর দল। হাতিবাগান, মানিকতলা, শ্যামবাজার, শোভাবাজারের যে সমস্ত বাজারে নিয়মিত বহু মানুষের ভিড় হয় এদিন সেখানেই ঢুঁ মারেন ইবি-এর আধিকারিকরা। এক ইবি আধিকারিকের কথায়, “বাজারে জিনিসের মূল্য ওঠানামা করেই। এখন আবার তার মধ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে গাড়ি ঠিকমতো চলছে না। জ্বালানি দ্রব্যেরও দাম মাত্রাতিরিক্ত। গত কয়েক দিন আগেই গোটা রাজ্যজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যার জন্য বহু ফসল নষ্ট হয়েছে। সবমিলিয়েই এই মূল্যবৃদ্ধি। তবে আমাদের বক্তব্য, সব বাজারেই দর যেন মোটামুটি একই থাকে। মাত্রাতিরিক্ত পার্থক্য যেন না হয়। কালোবাজারি যাতে না হয় সেদিকটাও দেখা আমাদের কাজ।”