AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jadavpur University: যাদবপুরের দেওয়ালে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান

Jadavpur University: সোমবারই আবার ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান লেখা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।

| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2025 | 1:17 PM
Share

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে লেখা হয়েছে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান। মুক্ত প্যালেস্তাইনেরও দাবি জানানো হয়েছে। এই দেওয়াল লিখনের নিচে লেখা রয়েছে অতি বাম ছাত্র সংগঠন পিডিএসএফ-র নাম। আর এই দেওয়াল লিখন ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এমনকি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকেও শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় চাপা পড়ে এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। যাদবপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে।

সোমবারই আবার ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান লেখা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। এর আগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে(JNU) আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে বিতর্কও বেধেছিল। তপ্ত যাদবপুরে এবার দেওয়ালে এই স্লোগান লেখা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে।

আজাদ কাশ্মীরের দেওয়াল লিখন নিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “এই পোস্টার যে কেউ দিয়ে থাক না কেন, অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা উচিত। ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই প্রশ্নে কোনওভাবেই কোনও সমঝোতা উচিত নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যাদবপুরকে কেন্দ্র করে যে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে কোনও বিজেপি এজেন্ট একাজ করে গিয়েছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। আবার ছাত্র রাজনীতির নাম করে কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না, সেটাও দেখতে হবে।”

গতকালই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “যাদবপুর তো চিরদিনই মাওবাদীদের আখড়া। ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। কিছু পুরনো লোক রয়েছে, যারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। আর যারা নতুন ছেলেমেয়েরা যায়, তাদের ওখানে মাথা খাওয়া হয়। দিল্লিতে ওরকম চলেছিল, আজ হিম্মত নেই কিছু করার। ” দেশবিরোধীদের কীভাবে ঠান্ডা করতে হয়, JNU-তে তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ।