
কলকাতা: ‘বাবরি’ নামে আপত্তি রয়েছে। তবে মসজিদে নয়। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় যখন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য দিক-বেদিক ঘুরে জমি দেখছেন ‘নিলম্বিত’ হুমায়ুন। সেই সময় ঠিক এই কথাই বললেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কার্তিক মহারাজ। যে বেলডাঙায় ভারত সেবাশ্রমের অফিস। সেই বেলডাঙাতেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস। কোথাও গিয়ে গেরুয়া ভাবধারাতেই আঘাত নয় তো? অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা, অভিযানের নেপথ্যে ঘোষিত ‘কাণ্ডারি’ এই সবই জনসমক্ষে প্রকাশিত। তারপরেও সেই গেরুয়া মনে ‘আঘাত’ দিয়ে বেলডাঙাতেই কি বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ভাবনা।
গোটা ব্যাপারটাকে খুব জটিল করছেন না কার্তিক মহারাজ। হুমায়ুনের সঙ্গে যতটা তৃণমূলের সম্পর্ক, তার কিছুটা হলেও সম্পর্ক বিজেপির সঙ্গেও রয়েছে। যা স্বীকার করেছেন কার্তিক মহারাজও। তাঁর কথায়, ‘উনি তৃণমূলে ছিলেন। বিজেপিতেও এসেছিলেন। মানুষ হিসাবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি একজন ধার্মিক মানুষ। সনাতন ধর্মাবলম্বী। মন্দির-মসজিদ নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এই বাবরি মসজিদ নামটায় আপত্তি রয়েছে। এর সঙ্গে অনেক বিতর্ক, ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই সেটা বাদ দিয়ে করলে ভাল হত।’
পাশাপাশি, ভরতপুরের প্রতিবাদী বিধায়ককে তৃণমূল সুপ্রিমোর আগেই সমঝে দেওয়া উচিত ছিল বলেই মত কার্তিক মহারাজের। এদিন তিনি বলেন, ‘হুমায়ুন যখন ৩০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ বলেছিলেন, তখনই দলনেত্রীর ওনাকে সমঝে দেওয়া উচিত ছিল। আর সত্য়ি বলতে, হিন্দুরা মুসলিম দের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে কিংবা মুসলিমরাও যদি ভাবে হিন্দু তাড়াবে বলা হয়, এই সব এখন অবাস্তব।’