কলকাতা : অস্ত্র সহ আটক করা হল হিঙ্গলগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা বাবু মাস্টারকে। শুক্রবার সন্ধেয় ইএম বাইপাসে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র সহ বাবু মাস্টার ও আরও দু জনকে আটক করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। কোথায়, কী উদ্দেশ্যে ওই অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। রাজ্যে চার পুর নিগমের নির্বাচন আসন্ন। ২২ জানুয়ারি যে চার পুর নিগমে ভোট হবে, তার মধ্যে অন্যতম বিধাননগরও। আর সেই ভোটের আগে বাইপাস থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বাইপাসে একটি হোটেলের সামনে থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিন গাড়িতে অস্ত্র থাকার খবর গোপন সূত্রে পায় বিধাননগর পুলিশ। এরপরই বাইপাসে পৌঁছয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ও বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা। গাড়িটিকে ঘিরে ফেলা হয়। বাইপাসের একটি হোটেলের সামনে থাকা ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। এরপরই ওই গাড়িতে থাকা প্রভাবশালী নেতা বাবু মাস্টার সহ তিনজনকে আটক করা হয়।
তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন ওই অস্ত্র বহন করা হচ্ছিল গাড়িতে, তা ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই বাবু মাস্টার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। খাতায়-কলমে তাঁর পোশাকি নাম ফিরোজ কামাল গাজী। বাংলার রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় ‘বাবু মাস্টার’ নামে। একসময় সিপিএম নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর ভোটোর ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনী আবহে মিনাখাঁয় দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির জেরে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন এই বাবু মাস্টার। কিন্তু, একুশের নির্বাচনে পদ্মের ভরাডুবির পর আর যে তিনি দলে থাকবেন না এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। পরে স্পষ্টতই জানান আর বিজেপি করবেন না তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন এই দাপুটে নেতা।
সেই সময় তিনি বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগদানের পরেই নাকি তিনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন। বিভাজন দিয়ে রাজনীতি হয় না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় নেত্রী বলে উল্লেখ করে দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন : Precaution dose: সরাসরি চলে যান টিকাকরণ কেন্দ্রে, প্রিকশন ডোজ় নিতে নাম রেজিস্টার করতে হবে না কোউইন পোর্টালে
তাঁর অভিযোগ ছিল, বসিরহাট একটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, কিন্তু সেখানে বিধানসভা ভোটে একটাও সংখ্যালঘু প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাই জীবদ্দশায় আর বিজেপি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।