কলকাতা: বগটুই গণহত্যা ইস্যুতে আজও উত্তাল বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করে স্লোগান ও বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের। বিধানসভায় রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে আলোচনা দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকে কর্ণপাত করেননি। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে অথচ বিধানসভায় এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ১১টার সময়ে বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই বগটুই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, ‘বগটুই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, তা আপনারা সংবাদপত্রে দেখেছেন। এই নিয়ে আলোচনা করে বিধানসভার সময় নষ্ট করলে চলবে না। তাতে কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তখনই বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। কুড়ি মিনিট ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তারপর ফের বাইরে এসে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “শুধু ক্ষতিপূরণ-চাকরি দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে? রাজ্যের অভ্যন্তরে কী হচ্ছে, ওঁ বাকি রাজ্যের কথা বলেন। কোন রাজ্যে নির্বাচনে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন? তৃণমূলের লোক তৃণমূলকে মারছে, তাহলে ষড়যন্ত্রটা কে করছে? যে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বিজেপির অস্বিত্বই নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কে কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল? তাহলে কি তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকার বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই অন্য কেউ ষড়যন্ত্র করল?” উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই বিধানসভা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এই ইস্যুতে। এদিন অবশ্য বাজেট সংক্রান্ত অধিবেশনের বাকি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বিধানসভায়।
আরও পড়ুন: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তে কি তবে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের?