কলকাতা: একটি বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত মহিলা। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাগুইআটি বারুইপাড়া এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বছর বত্রিশের ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, কার্তিক ঘোষের বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে ভাড়া এসেছিলেন অমিত মজুমদার এবং ওই আক্রান্ত মহিলা শ্রীমতি মণ্ডল। স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাঁরা থাকতেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্রীমতি পেশায় একজন যৌনকর্মী ছিলেন। যৌনপল্লিতেই শ্রীমতির সঙ্গে পরিচয় হয় অমিতের। পরে তাঁদের সম্পর্ক গাঢ় হয়। গত চার বছর ধরে তাঁর লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। ইদানীং সম্পর্কে অবনতি হয়। বছর ষোলোর এক ছেলেও থাকে তাঁদের সঙ্গে। সে শ্রীমতির ছেলে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ আচমকাই গোঙানির শব্দ শুনতে পান। শব্দের উত্স খুঁজতে গিয়ে তাঁরা ওই বাড়ির পিছনে জঙ্গলে যান। সেখানেই শ্রীমতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার দু’জন জড়িত। শ্রীমতির সঙ্গী অমিত ও তাঁর ছেলের বন্ধু জাগা। জাগাও অল্প আক্রান্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাকেও আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অমিতকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার যখন আওয়াজ শুনে যাই, তখন দেখি টাটকা চাপ চাপ রক্তে এলাকা ভেসে যাচ্ছে। কাতরাচ্ছেন ওই মহিলা। তাঁর গলাতে গভীর ক্ষত ছিল। কিছু না ভেবেই থানায় আগে খবর দিই আমরা।”
অমিতকে আপাতত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ছুরি। ওই ছুরি দিয়েই শ্রীমতির ওপর হামলা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তাতেও রক্তের দাগ লেগে ছিল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে সোনালি পার্কের এক এলাকায় বাড়ির সামনে মুকেশ সাউ নামে বছর তেতাল্লিশের এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর ভাই সকালে প্রথম তাঁকে দেখতে পান। তাঁর চিত্কারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। শরীরে রক্তের দাগ দেখে, তাঁরা বুঝতে পান, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
তত্ক্ষণাত্ খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। তবে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির ডান হাতে একটি ছুরি ছিল। গলায় গভীর ক্ষত ছিল। ছুরি দিয়েই গলায় কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ছুরি দিয়েই গলায় আঘাত করা হয়েছে। ছুরিতেও রক্তের দাগ ছিল। সেই খুনের ঘটনায় আপাতত মুকেশের ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata Crime News: ঘর থেকে উদ্ধার ভাঙা চুরি, সন্দেহের তালিকায় ভাই! সোনালি পার্ক যুবক খুনে নয়া মোড়