Ballygunge Theft: হঠ্ করে আসা বন্ধ, ফোন করলে দেখান অদ্ভুত কারণ! বাড়িতে ঢুঁ দিয়ে দেখেন পরিচারিকারই রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি গয়না
Ballygunge Theft: পরিচারিকা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কাজে আসবেন না। কারণ হিসাবে অদ্ভূত যুক্তিও দিয়েছিলেন।

কলকাতা: প্রথম একদিন আসেননি, দ্বিতীয় দিনেও নয়। এইভাবে তিন চার দিন পেরিয়ে যায়। বাড়ির লোক তখনও বুঝতে পারেননি। পরিচারিকাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন কবে আসবেন তিনি কাজে? পরিচারিকা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কাজে আসবেন না। কারণ হিসাবে অদ্ভূত যুক্তিও দিয়েছিলেন। কিছুটা বিপদে পড়েন, কিন্তু তারপর যখন আসল কারণটা বুঝতে পারেন, তখন আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের মাথায়। বাড়ির আলমারি থেকে খোয়া গিয়েছে সোনার হার, হীরের আংটি, বালা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে সেখান থেকেই। বালিগঞ্জ সার্কুলার লেনের একটি বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকার গয়না চুরির অভিযোগ উঠল বাড়ির পরিচারিকার বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই পরিচারিকাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম নয়ন দাস।
সম্প্রতি বালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। রাজেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি তাঁর পরিচারিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, পরিচারিকা কাজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়ি থেকে খোয়া গিয়েছে সোনা ও হীরের গয়না। যার বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হবে। পরিচারিকা কাজে না আসার যে কারণ তাঁদের দেখিয়েছেন, সেটিও অত্যন্ত সন্দেহজনক।
এরপর খোঁজখবর করা শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায় ওই পরিচারিকার বাড়ি সুভাষগ্রামে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে স্বামী খোকন দাসের সঙ্গে থাকেন। তাঁর বাড়ি থেকে সব সোনা ও হীরের গয়না উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনা ও হীরের গয়নার ওজন ১৩৫ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
