BJP in Kolkata: ধর্মতলায় শাহি সভা মঞ্চের পাশেই বঞ্চনা ভাণ্ডার, কী অভিযোগ জানাল জনতা?
BJP in Kolkata: সভা শেষ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকেরা ভিড় জমান ড্রপ বক্স বা বঞ্চনা ভাণ্ডারের সামনে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কোন কোন সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত একটি ফর্মে সেটা লিখে নাম এবং যোগাযোগ নম্বর দিয়ে ফেললেন ড্রপ বক্সে।

কলকাতা: শাহি সভা মঞ্চের পাশেই সকাল থেকেই রাখা ছিল ড্রপ বক্স বা বঞ্চনা ভাণ্ডার। একদিকে যখন রাজ্যের শাসক দল কৌশলগতভাবে রাজ্যের বকেয়া টাকা পাওনার দাবিতে দিল্লিতে ধরনা অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে, ঠিক তার পাল্টা কৌশল রাজ্য বিজেপির (BJP)। সভা শেষ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকেরা ভিড় জমান ড্রপ বক্স বা বঞ্চনা ভাণ্ডারের সামনে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কোন কোন সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত একটি ফর্মে সেটা লিখে নাম এবং যোগাযোগ নম্বর দিয়ে ফেললেন ড্রপ বক্সে।
সূত্রের খবর, মূলত আবাস ও জব কার্ডের সুবিধা না পাওয়ার কথাই উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এছাড়াও আয়ুষ্মান ভারত সহ একাধিক প্রকল্প পাচ্ছেন না বলে তাঁরা অভিযোগ জানাচ্ছেন এই ড্রপ বক্সে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে লেখা হচ্ছে চিঠি। কর্মী সমর্থকদের আশা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী তাদের এই অভিযোগগুলি জানতে পেরে তার সুরাহা করবেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই কৌশল জেলা স্তরেও পৌঁছে যাবে বলে খবর পদ্ম শিবির সূত্রে।
এদিন সভায় এসেছিলেন রাজারহাটের এক বাসিন্দা। তিনিও জানালেন তাঁর অভাব অভিযোগের কথা। বললেন, “আমার বাড়ি রাজারহাটে। আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাইনি। আজ আবাস যোজনা নিয়ে লিখে পাঠিয়েছি।” দলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন হাওড়ার পাঁচলা থেকে আগত এক যুবকও। বলছেন, “আমি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মধ্যে ঢুকতে পারিনি। সেটাই লিখে জানিয়েছি। ফর্মে আমি আমার অভিযোগ জানিয়েছি। সঙ্গে নাম ঠিকানা সবই লিখে দিয়েছি। অনেকেই পানীয়, জল, বাড়ির সমস্যার কথা মোদীজির কাছে লিখে পাঠাচ্ছেন।”
নদিয়া থেকে এসেছেন বছর সত্তরের এক বৃদ্ধ। ক্যামেরার সামনেই মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। বললেন, “আমি নদিয়ার কালিগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। এই তৃণমূল সরকার একশোদিনের কাজ দেয় না। বার্ধক্য ভাতাও পাচ্ছি না। আমার এখনই বয়স প্রায় ৭০। আমার মা বিধবা ভাতাও পায় না। জলেও সমস্যা আছে। এ সবই লিখে পাঠাচ্ছি। আশা করছি হয়তো সহযোগিতা মিলতে পারে।”
