
কলকাতা: নাম জড়িয়েছে গুলশন কাণ্ডে। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৪ শাগরেদ। তারমধ্যে দু’জন আবার ঘনিষ্ঠ সহযোগি বলেও শোনা যাচ্ছে। পুলিশ খুঁজে না পেলেও আড়ালে থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেই চলেছে মিনি ফিরোজ। এদিকে ফিরোজের কথা উঠলেও বারবার উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খানের নাম। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, মাথায় জাভেদেরই হাত রয়েছে সে কারণেই ফিরোজের টিকিটিও ধরতে পারছে না পুলিশ। একইসঙ্গে তৃণমূলেরই বিধায়ক-কাউন্সিলর দ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা বলে মত বিরোধীদের। নাম উঠে এসেছে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষেরও।
যদিও গুলশন কাণ্ড নিয়ে জাভেদ আগে বলেছিলেন, “আমি তো ওর মধ্যে নেই। আমি ওখানে যাইও না, সুশান্ত দেখে ওটা। সুশান্ত বলতে পারবে। বিষয়টার ভাল করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্য কোনও জায়গায় হচ্ছে না, কিন্তু কেন বারবার ১০৮ এর মধ্যে হচ্ছ সেটা ভাল করে দেখতে হবে। শুধু গুন্ডারাজের আমরা নিন্দা করি। কে কার লোক দেখার দরকার নেই। আগে ধরুক তারপর কড়া শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক। গুন্ডারা তৃণমূল হয় না।” তবে বিরোধীরা সুর চড়াতে থামাচ্ছে না।”
এদিকে ফিরোজ আবার এদিন আলাদা করে সুর চড়িয়েছেন সুশান্তর বিরুদ্ধে। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলছেন, “এই ওয়ার্ড ১০৭ নয় যে, কারও পেছনে আপনি লাগাবেন, আর সে ভয় গুটিয়ে যাবে। এটা ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড। এটা মাথায় রাখবেন। এমন এমন জায়গায় ফাইল তৈরি করে রেখেছি, প্রয়োজনে সেগুলি সব বের করে দেব।”
সুশান্ত যদিও বলছেন, “রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। কিন্তু গুলশনের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ক্রিমিনালদের গুলশনে কোনও ঠাঁই নেই। চার বছর ধরে অনেক হুমকি আমি শুনেছি। এদের নিয়ে আমি চিন্তা করছি না। গুলশনের মানুষদের রুখে দেবে।”
তবে জাভেদ বলছেন, ওখানে যা ঘটেছে তা যে কোনও জায়গায় ঘটতে পারে। তবে বাংলায় আইনের শৃঙ্খলা রয়েছে। ভারতের অন্যান্য় রাজ্যের থেকে বাংলার অবস্থা ভাল। তিনি বলছেন, “ঘটনা যে কোনও জায়গায় ঘটতে পারে। কার মনে কী আছে তা কী আপনি জানেন না আমি জানি! ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে। ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেই আজকে গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলা আজকে সবথেকে বেশি শান্তিতে আছে।”