Taslima Nasrin: ভারতের যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন তসলিমা, শমীকের প্রশ্নে জানাল কেন্দ্র
Taslima Nasrin: গত ১৭ মার্চ সংসদে জিরো আওয়ারে শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “তসলিমা কলকাতাকে ভালবাসেন। তিনি কলকাতায় থাকতে চান, বাংলায় কথা বলতে চান, বাংলায় কবিতা লিখতে চান।” উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর দাবি জানান তিনি।

শ্রাবন্তী সাহা
কলকাতা: ২০০৭ সালে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপর আর কলকাতা ফেরা হয়নি বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে কলকাতা ফেরানোর দাবি জানিয়ে সংসদে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার এই সাংসদকে এবার চিঠি দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়ে দিলেন, ভারতের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন তসলিমা।
তাঁর বই নিয়ে বিতর্কের জেরে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে তসলিমা নাসরিনকে। একসময় কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে তাঁর দ্বিখণ্ডিত বই নিয়ে বিতর্কের মুখে কলকাতাও ছাড়তে হয় তাঁকে। আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে ভারতে থাকার রেসিডেন্স পারমিট শেষ হয়ে যায় তসলিমার। পরে মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে তসলিমা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হন। সেই দাবি মেনে রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৭ মার্চ সংসদে জিরো আওয়ারে শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “তসলিমা কলকাতাকে ভালবাসেন। তিনি কলকাতায় থাকতে চান, বাংলায় কথা বলতে চান, বাংলায় কবিতা লিখতে চান।” উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর দাবি জানান তিনি।
তাঁর সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানালেন, ভারতের যেকোনও জায়গায় যেতে কোনও বাধা নেই তসলিমা নাসরিনের। অর্থাৎ চাইলে তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন।
কেন্দ্রের এই জবাব নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল বলেন, “কোনও বিদেশিকে কোনও রাজ্য সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখা হবে, সেখানে কোনও সম্প্রদায়ের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, দেশের সার্বভৌমত্বে অসুবিধা হচ্ছে কি না, আইন-শৃঙ্খলায় প্রভাব পড়ছে কি না। কিংবা ওই বিদেশির নিরাপত্তায় অসুবিধা হলেও, প্রশাসন তাঁকে সেই রাজ্য ছাড়তে অনুরোধ করতে পারে।”
এই নিয়ে ফোনে তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ভারতের বিভিন্ন শহরে যাই। কিন্তু, কলকাতা থেকে কেউ ডাকে না, তাই যাই না।” কলকাতায় তাঁকে আহ্বান জানালে, তিনি যে আসতে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট করে দিলেন। বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পান বলে জানালেন তসলিমা।

