Barun Biswas Murder Case: ‘জ্যোতিপ্রিয়র ফাঁসি চাই, খুন করেছে ওই’, গ্রেফতার হতেই ফের শিরোনামে বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা

Barun Biswas Murder Case: বরুণ খুন হয়েছেন ১১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও ভিটেমাটিতে থাকতে পারেন না বরুণের বাবা। ঘরে ছেলের স্মৃতি ভর্তি। আজ জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর চোখে জল অশীতিপর জগদীশ

Barun Biswas Murder Case: 'জ্যোতিপ্রিয়র ফাঁসি চাই, খুন করেছে ওই', গ্রেফতার হতেই ফের শিরোনামে বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা
ফের শিরোনামে বরুণ বিশ্বাসের হত্যা মামলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2023 | 1:56 PM

কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির সঙ্গে আবারও উঠে বেল প্রতিবাদী বরুণ বিশ্বাসের হত্যামামলা। মন্ত্রী গ্রেফতারি হতেই বিস্ফোরক বরুণ বিশ্বাসের দাদা ও বাবা। বরুণ বিশ্বাসের হত্যার পিছনে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই। TV9 বাংলার ক্যামেরা স্পষ্টই জানালেন বরুণ বিশ্বাসের দাদা এবং বাবা। বরুণের বাবা জগদীশ বিশ্বাস বললেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ফাঁসি চাই।” বরুণের মৃত্যুর তদন্ত কার্যত হয়নি বলেও অভিযোগ  করেন বরুণের দাদা অসিত বিশ্বাস। তিনি তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু মামলায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সিবিআই তদন্ত করলেই, প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। বেরিয়ে আসবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা। দাবি অসিত বিশ্বাসের।

বরুণ খুন হয়েছেন ১১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও ভিটেমাটিতে থাকতে পারেন না বরুণের বাবা। ঘরে ছেলের স্মৃতি ভর্তি। আজ জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর চোখে জল অশীতিপর জগদীশ। তিনি বললেন, “ওই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই আমার বরুণকে খুন করেছে। সেই কথা আমার বড় মেয়ে বলেছিল বলে, ওর নামেও মানহানির মামলা করে দিয়েছে।” কথাগুলি বলতে গিয়ে শব্দ আটকে যাচ্ছিল তাঁর। একে বয়সের ভার, সঙ্গে সন্তান শোক! তিনি কেঁদেই ফেললেন। বললেন, “আমি একটাই কথা বলব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যেন ফাঁসি হয়। আমার এটাই শেষ ইচ্ছা। আর বেশি দিন আমি থাকব না, কিন্তু এটাই বলে যাব জ্যোতিপ্রিয়র যেন ফাঁসি হয়।”

পাশেই বসে ছিলেন বরুণের দাদা। তিনি বলেন, “জ্যোতিপ্রিয়র সাঙ্গপাঙ্গরা গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, সুটিয়া- একটা অর্গানাইজ়ডভাবে বরুণকে খুন করা হয়েছে। এটা এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়। সিআইডি এই মামলার তদন্ত করতে পারবে না। বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক। এটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন।” পাশে বসে কেঁদেই চলেছেন বরুণের বাবা। তিনি বললেন, “যে বন্দুকটা দিয়ে গুলি করা হয়েছিল, সেটাও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সরিয়ে ফেলেছিল। যাতে প্রমাণ না থাকে। একজন বাবা হয়ে বেঁচে আছি, সন্তান হারিয়ে… এর থেকে বড় শোক আর কী হতে পারে। ” এখনও শাসকদলের আতঙ্কে সুটিয়ার বাড়িতে থাকতে পারেন না বরুণের পরিবার। কলকাতাতেই থাকেন বরুণের বাবা। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারির পর নতুন করে আশার আলো দেখছেন তাঁরা। একটাই দাবি, ‘জ্যোতিপ্রিয় ফাঁসি চাই।’

জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারিতে নতুন করে বরুণ বিশ্বাসের মামলা প্রাণ পেতে পারে, মনে করছে পরিবার। বিজেপির তরফে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরাও চাই, বরুণ বিশ্বাসের মামলার সিবিআই তদন্ত হোক।”