Subrata Mukherjee: বাড়ি ফেরার কথা ছিল শুক্রবার! স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হয়েই সব শেষ

শীঘ্রই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্ত, ফেরা হল না। না ফেরার দেশেই চলে গেলেন তিনি।

Subrata Mukherjee: বাড়ি ফেরার কথা ছিল শুক্রবার! স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হয়েই সব শেষ
গত বছর প্রয়াত হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2021 | 7:02 PM

কলকাতা : দিন কয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রুটিন চেক আপ করাতেই এসএসকেএমে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন অনেক নেতা-নেত্রীই। উদ্বেগ ছিল প্রত্যেকেরই। তবে মন্ত্রী ক্রমশ সুস্থই হয়ে উঠছিলেন। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্ত, ফেরা হল না। না ফেরার দেশেই চলে গেলেন তিনি। কালী পুজোর সন্ধেয় আচমকা অসুস্থতা। আর তাতেই সব শেষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগের সমস্যার পাশাপাশি সিওপিডি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাও ছিল। একাধিক রোগের কারণেই বেড়ে গিয়েছিল জটিলতা। জানা গিয়েছে তাঁর ধমনীতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ছিল না। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে স্টেন্ট বসানো হয়। আর সেই স্টেন্টই মৃত্য়ুর কারণ হয়ে উঠেছিল বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শুক্রবারই হাসপাতাল তেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকা মৃত্যু সংবাদ। কী হল এমন?

এসএসকেএমের এক চিকিৎসক জানান, সুস্থ হওয়ায় তাঁকে কার্ডিও বিভাগ থেকে উডবার্ন ওয়ার্ডে আনা হয়েছিল। এ দিন বাথরুম থেকে বেরিয়ে বেডে ফেরার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত।  চিকিৎসকের কথায়, স্টেন্ট থ্রম্বোসিসের কারণেি তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত, ধমনীতে রক্ত চলাচল ঠিক মতো না হলে স্টেন্ট বসানো হয়। এ ক্ষেত্রে স্টেন্টেই রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। ফলে ধমনী অকেজো হয়ে যায়।

সূত্রের খবর, মন্ত্রী যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সেখানে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। পরে সিনিয়র চিকিৎসকদের ডাকা হয়। ইন্টার ভেনশনাল কার্ডিওলজিক্যাল সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। নানা রকমের লাইফ সাপোর্টে রাখার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ৯ টা ২২ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। এক চিকিৎসক জানান, স্টেন্ট থ্রম্বোসিস হলে সাডেন ডেথ বা আচমকা মৃত্যু হতে পারে মানুষের। এ ক্ষেত্রেও সম্ভবত সেটাই হয়েছে।

আরও পড়ুন : বজবজ থেকে বালিগঞ্জ! অর্ধ শতকের সুব্রত উদযাপন