কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন রাজ্যের নেতারা। মঙ্গলবারই দিল্লিতে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদাররা। এদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। শেষবেলার প্রচারে ভবানীপুরে যে ঘটনা ঘটল, সেখানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট বিজেপি।
বিজেপির বক্তব্য একেবারেই স্পষ্ট, যদি ভোটপ্রচারই তারা করতে না পারে। তা হলে ভোট করিয়েই বা লাভ কী। মানুষের কাছে যদি ভোটের আবেদন নিয়ে যেতেই না পারেন, তা হলে মানুষের সঙ্গে ভোটের জনসংযোগ হবে কী ভাবে। বিজেপির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, শুধু সোমবারের ঘটনাই নয়। উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দফায় দফায় আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে তাদের দলীয় নেতাদের। এমনকী প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপি তরফে অভিযোগ, এই ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপির বেশ কিছু কর্মী মার খেয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি বলেও দাবি করেছেন বিজেপির নেতারা। মঙ্গলবারও একজন মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপি সাংসদদের উপরও আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ৮০টি জায়গায় বিজেপি যে প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছিল, তাও ভণ্ডুল করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে।
এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে ভোট করা যায় তা নিয়ে সোমবারই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের বক্তব্য, “পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এর মধ্যে গণতন্ত্রের যে উৎসব, ভোট তা হওয়া আদৌ সম্ভব কি না আমি সন্দিহান। সন্ধ্যাবেলায় আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। তারা কথা বলবে। একজন সর্বভারতীয় সহ সভাপতির উপর যদি এ ধরনের আক্রমণ হতে পারে, কোন সাধারণ মানুষটা সাহস করবেন ভোট দিতে যাওয়ার?”
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন যখন কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে বাহিনী চায়, কেন্দ্র তা তুলে দেয়। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কতটা মোতায়েন হবে তা নির্ভর করে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উপর। রাজ্য প্রশাসন এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে বসিয়ে রেখেছে। তাদের ব্যবহার করছে না, তাই তাদের দেখাও যাচ্ছে না।”
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। এই প্রতিনিধি দলে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ থাকবেন। থাকার কথা স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও। পাঁচ সদস্যর প্রতিনিধি দল যাবে বলে খবর।। একই সঙ্গে এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও রাজ্য নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা।
বিজেপির তরফে বক্তব্য, ‘পুলিশের পক্ষপাতিত্বে বিজেপি নেতারা মার খাচ্ছেন। প্রচারেই যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে ভোটের দিন কী হবে?’
আরও পড়ুন: School Teacher: ছ’ লাখির ‘ব্লুটুথ জুতো’ পরে নিয়োগ-পরীক্ষায় বসলেন ‘টুকলিবাজ’ হবু শিক্ষক!