AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhabanipur Murder: আততায়ী কি ওড়িশায় লুকিয়ে? ভবানীপুর খুনে অভিযুক্তকে ধরে দিতে পারলেই পুরস্কার

Bhabanipur Murder: পোস্টারের তলায় যোগাযোগের নম্বর দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের। সূত্রের খবর, ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্ত বিমলকে শেষ দেখা গিয়েছে ওড়িশায়।

Bhabanipur Murder: আততায়ী কি ওড়িশায় লুকিয়ে? ভবানীপুর খুনে অভিযুক্তকে ধরে দিতে পারলেই পুরস্কার
ব্যবসায়ী খুনে নয়া তথ্য
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2022 | 10:07 AM
Share

কলকাতা: ভবানীপুরের ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ খুনের আততায়ী ওড়িশায় পালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন আততায়ীর ছবি প্রকাশ করেছে ওড়িশা পুলিশ। পড়শি রাজ্যের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ওই ছবি প্রকাশ করে পোস্টারও দিয়েছে। পোস্টারে সন্দেহভাজন আততায়ী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে বিমল শর্মা নামে এক যুবকের। পোস্টারের তলায় যোগাযোগের নম্বর দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের। সূত্রের খবর, ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্ত বিমলকে শেষ দেখা গিয়েছে ওড়িশায়।

প্রসঙ্গত, শান্তিলাল বৈদ্য ২০ নম্বর লি রোডের বাসিন্দা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এলগিন রোডের একটি গেস্ট হাউজ থেকে তাঁর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। খুনের ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অধরা অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে এক জন যুবকের নামই উঠে আসছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আততায়ীকে শেষ কটক, বালেশ্বরে দেখা গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে ওড়িশাতেই আততায়ীর থাকার সম্ভবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের একটি টিম ওড়িশায় পৌঁছেছে। আততায়ীর ছবি প্রকাশ করেছে ওড়িশা পুলিশ। ওড়িশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে তিন সন্দেহভাজন যুবকের ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি ওড়িশায় বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে। মূল অভিযুক্ত বিমল শর্মা দিল্লির বাসিন্দা। তার খোঁজ কেউ দিতে পারলে, তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তথ্য দেওয়ার জন্য পোস্টারে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি ফোননম্বরও।

তবে এই খুনের মোটিভও এখন তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। কেন মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও খুন করা হয়েছিল লি রোডের ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যকে, আদৌ তাঁর সঙ্গে আততায়ীর কোনও সমকামিতার সম্পর্ক ছিল কিনা, তাও প্রমাণ সাপেক্ষ। মূল অভিযুক্ত জালে পড়লেই এই রহস্যের সমাধান হবে।

তবে সমকামী তত্ত্ব এক্ষেত্রে অনেক বেশি জোরাল হয়েছে। ব্যবসায়ীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় আঁচড়ের দাগ ছিল তাঁর। কীভাবে ওই দাগ হল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গেস্ট রুমের ঘরে একটি খাটের ওপর কম্বল খোলা অবস্থায় ছিল। সেই কম্বলের ওপরে জৈবিক তরলের দাগ পাওয়া গিয়েছে।

আরও একটি বিষয়, ওই যুবকের সঙ্গে ৯ ফেব্রুয়ারিও একই গেস্ট হাউসে ওঠেছিলেন ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী একাধিকবার ওই গেস্ট হাউসে এসেছিলেন বলে তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনী পেশাদার নয়। অন্তত ফিঙ্গার প্রিন্ট দেখে তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। খুনের পর হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে পালিয়েছিল আততায়ী। তাঁকে হাওড়ার কাছাকাছি জায়গায় ছেড়ে এসেছিলেন ট্যাক্সি চালক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: Municipal Elections : পুরভোটে ব্যবহারের ১৫০ ইভিএম সিল হবে না! মহকুমা শাসকের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি