Municipal Elections : পুরভোটে ব্যবহারের ১৫০ ইভিএম সিল হবে না! মহকুমা শাসকের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি
State Election Commission: পুরভোটের জন্য ব্যবহৃত ১৫০ টি ইভিএম সিল করা হবে না। মহকুমা শাসক এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপি শিবিরের। মহকুমাশাসকের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
কাঁথি ও কলকাতা: আগামী রবিবারের নির্বাচনে (Municipal Elections 2022) সব মহলের নজরে থাকবে কাঁথি পুরসভা (Contai Municipality)। কারণ, সেই শান্তিকুঞ্জের অধিকারী পরিবার। দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভা অধিকারী পরিবারের হাতেই থেকে এসেছে। এবারের পুরভোটে কি তার কোনও পরিবর্তন হবে? দীর্ঘদিন পর কি তা হাতছাড়া হবে অধিকারী পরিবারের? নাকি বকলমে (কারণ, অধিকারী পরিবার থেকে সরাসরি কেউ নেই এবার পুর লড়াইয়ে) ক্ষমতা ধরে রাখবেন তাঁরা। সেই নিয়েই রয়েছে টানটান উত্তেজনা। আর এবার সেই কাঁথি পুরসভা ঘিরেই নতুন বিতর্ক। পুরভোটের জন্য ব্যবহৃত ১৫০ টি ইভিএম সিল করা হবে না। মহকুমা শাসক এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপি শিবিরের। মহকুমাশাসকের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
কাঁথির মহকুমা শাসক তথা মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসারের তরফ থেকে বিগত কয়েক দিন আগে একটি নোটিস জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় ১৫০ টি ইভিএম, যেগুলি কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে – সেগুলি যাতে সিল না করা হয়। আর এখানেই অভিযোগ তুলছে বিজেপি। পদ্ম নেতাদের বক্তব্য, তাহলে কি ভোট লুঠের কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে, এভাবেই কি পুরসভা দখল করার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল? আর প্রশাসনে বসে থাকা কোনও কোনও ব্যক্তি কি সেই কাজটাই করছেন? কেন এমম নির্দেশিকা জারি করলেন মহকুমা শাসক? কাঁথি পুরভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কাঁথির মহকুমা শাসক যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা যাতে তিনি বদল করেন, রাজ্য নির্বাচনের কাছে সেই নিয়েই আর্জি জানিয়েছেন পদ্ম নেতারা।
ঘটনা নিয়ে কমিশন অবশ্য ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সিল বদল করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সিল নষ্ট (স্পয়েল) হয়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে মহকুমা শাসক নোটিস করেছিলেন। আর তা সঠিকই করেছিলেন মহকুমা শাসক। অনেকে ভেবেছিলেন, কমিশনের সিলের বাইরে অন্য সিল ব্যবহার করা হবে। কিন্তু তেমন আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আগমিকাল, সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : Municipal Elections 2022: মাঝরাতে বাড়ির সামনে একদল ছেলের হুজ্জুতি! ভোটের মুখে উত্তাপ ছড়াচ্ছে হিংসা