Manipur Assembly Election 2022 : ভোটের আগে বিজেপি-এনপিপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এনপিপি প্রার্থীর বাবা, তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Manipur Assembly Poll 2022 : মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল। গুলিবিদ্ধ হলেন এনপিপি প্রার্থীর বাবা। মণিপুরের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইম্ফল : মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। নির্বাচনের আগেই সংঘর্ষ বাধল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। হিংসায় জড়ায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP)। নির্বাচনের প্রাক্কালে মণিপুরের আন্দ্রো বিধানসভাকেন্দ্রের এই সংঘর্ষে একে অপরকে দোষারোপ করেছে এই দুই রাজনৈতিক দল। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখেমুখি হয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির সংযুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিরোধী প্রার্থীদের দেওয়া নিরাপত্তার অপব্যবহার করছেন তাঁরা।
পূর্ব ইম্ফল জেলার আন্দ্রো নির্বাচনী এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধে থেকেই বিজেপি এবং এনপিপি এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষে ৬ টি বাড়ি এবং ৫ টি গাড়িরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে ছিলেন এনপিপি প্রার্থী সঞ্জয়া সিংয়ের বাবা এল শ্য়ামজাই এবং প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি প্রার্থী টি শ্যামকুমারের গাড়ি চালক। তাঁদের দু’জনেরই বুলেট লেগেছিল। বিজেপির আন্দ্রো মণ্ডলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেইহাউবাম বাবুও এই সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে ৭ জনকেই ইম্ফলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপরই সংঘর্ষ ঘিরে দোষারপ পর্ব শুরু হয়।
এনপিপি এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এনপিপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে এনপিপি প্রার্থীকে তাঁর বাড়ির বাইরে গুলি করা হয়েছে। সেই সময় তিনি নিজের বাড়ির বাইরে হাঁটছিলেন। এনপিপি জাতীয় সভাপতি কোনরাড সাংমা শনিবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। মণিপুরের অন্তত ১০ টি বিধানসভাকেন্দ্র থেকে এরকম বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, যতদিন ভোটের দিন এগিয়ে আসছে তত মণিপুরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসেই সামারাউতে গুলি চলে ও ডিসেম্বর মাসেও থৌবাল জেলায় গুলি চলেছিল বলেও জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খালবেসই গ্রামে একজন এনপিপি কর্মীর বাড়ির কাছে কম কার্যক্ষমতাসম্পন্ন বোমা বিস্ফোরণও হয়েছিল। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে কোনও ঝামেলা এড়াতে নির্বাচন কমিশন আরও সিএপিএফ (CAPF) এবং আরও ৩০০ কোম্পানি সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন।