AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indo-China Relationship : ‘ভারত-চিন সম্পর্ক বর্তমানে খুবই খারাপ,’ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে অকপট এস জয়শঙ্কর

Munich Security Conference : ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক "খুব কঠিন পর্যায়ের" মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (MSC)২০২২ এর প্যানেল আলোচনায় এই মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

Indo-China Relationship : 'ভারত-চিন সম্পর্ক বর্তমানে খুবই খারাপ,' প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে অকপট এস জয়শঙ্কর
ছবি : PTI
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2022 | 1:09 PM
Share

মিউনিখ : ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক “খুব কঠিন পর্যায়ের” মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (MSC)২০২২ এর প্যানেল আলোচনায় এই মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সীমা চুক্তি লঙ্ঘন করার পর ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, সীমানার পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কের অবস্থান নির্ধারণ করবে। জয়শঙ্কর এই কনফারেন্সে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে চিনের মধ্য়ে সমস্য়া চলছে। তিনি বলেছেন, “সমস্যা হল ৪৫ বছর ধরে সীমানাতে শান্তি ছিল। সীমান্তে স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনা ছিল। ১৯৭৫ সাল থেকে সীমান্তে কোনও সামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”

তবে আগের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, “কারণ চিনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল সেনাবাহিনীকে না আনতে… আমরা এটিকে সীমান্ত বলি তবে এটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা, এবং চিনারা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।” তিনি বলেছেন, “সীমানার পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কের অবস্থান নির্ধারণ করবে। এটাই স্বাভাবিক।” তিনি এর সঙ্গে আরও বলেছেন, “সুতরাং চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একটি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।” এর সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে ২০২০ সালের জুনের আগে পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালোই ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন নাগাদ প্যাংগং হ্রদ এলাকায় সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যের অস্থিরতা শুরু হয়। উভয় পক্ষই হাজার হাজার সৈন্যের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধীরে ধীরে তাদের মোতায়েন বাড়িয়ে দেয়। ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় একটি মারাত্মক সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তারপর থেকেই চিন-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেও মরচে ধরেছে। এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হিসেবে চিনের চু্ক্তি অমান্য করাকেই দায়ী করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি তার অস্ট্রেলিয়ান প্রতিপক্ষ মেরিস পেনের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সময় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “সুতরাং যখন একটি বৃহৎ দেশ লিখিত প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে আমি মনে করি এটি সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বৈধ উদ্বেগের বিষয়।” জয়শঙ্কর MSC-তে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। এই প্যানেল আলোচনার লক্ষ্যই ছিল ইউক্রেন নিয়ে ন্যাটো দেশ এবং রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, “আমি মনে করি না ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ট্রান্স আটলান্টিকের পরিস্থিতি সত্যিই সাদৃশ্যপূর্ণ”।

আরও পড়ুন : S Jaishankar on Russia-Ukraine Conflict: ‘সমাধানসূত্র খুঁজতেই হবে’, রাশিয়া-ইউক্রেনকে কূটনৈতিক আলোচনার পরামর্শ বিদেশমন্ত্রীর