
কলকাতা: মৃত্যু হলেই উঠে আসছে এসআইআরের তত্ত্ব। সত্যি না মিথ্যা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর ক্রমেই তীব্র হয়েছে। বিজেপি বলছে তৃণমূলই ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে বিজেপির জন্য যত কাণ্ড। এবার আসরে নামতে দেখা গেল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। “ভাগাড়ে শকুন যেমন মরা গরু খুঁজে বেড়ায় সেরকম ছবি দেখা যাচ্ছে। এখন বিজেপি-তৃণমূল দু’জনেই কার মৃত্যু হচ্ছে, কে গলায় দড়ি দিয়ে মরছে সেই বাড়িতে চলে যাচ্ছে।” এসআইআর রাজনীতি নিয়ে এভাবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেস ভরতপুরের বিজেপি বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
তবে হুমায়ুনের সাফ কথা ভয় দেখিয়ে কোনও কাজই হবে না। টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও। সাফ বলেন, “ভয় দেখিয়ে, জোরজলুম করে সুবিধাজনক অবস্থায় কেউ থাকবে না। ভোটার লিস্টে নাম তুলতেই হবে। বাজার গরম করার জন্য কিছু ঘটনা হচ্ছে হবে। আর এরা যত অভিযোগ করবে নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখবে। বিহারে তো বিএলও-দের জেলও খাটতে হয়েছিল। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন এসআইআর করতেই দেব না? কিন্তু এসআইআর তো হচ্ছে।”
সাম্প্রতিককালে একাধিক ইস্যুতে বেলাইনে হাঁটতে দেখা গিয়েছে হুমায়ুনকে। দলের অস্বস্তিও বাড়িয়েছেন লাগাতার। শোকজ নোটিসও গিয়েছে। তবুও দমেননি বিদ্রোহী হুমায়ুন। এবার এসআইআর আবহে বিজেপির তুলোধনা করতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতেই নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই আবার ৮ জন বিএলও-কে নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করার জন্য শোকজ করেছে কমিশন। বাড়ি বাড়ি না গিয়ে অন্য জায়গা থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার জন্যই একাধিক জেলার ইলেকট্রিরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা তাঁদের শোকজ করেছেন। পাশাপাশি এফআইআর করা হয়েছে ৮ বিএলএ-র বিরুদ্ধেও।