কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট প্রচারে (Bhawanipore By-Election) এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) প্রচারে নামেন অভিষেক। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট চান তিনি। সেখানেই অভিষেকের মন্তব্য, ভবানীপুরে মমতা জিতলে, জিতবে দেশ। গোটা দেশ ভবানীপুরের ভোটের দিকে তাকিয়ে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ভবানীপুর শুধু আমার আপনার ভোট নয়। গোটা দেশ এই ভোটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। রক্ত দিয়ে দেব। কিন্তু দেশ জিতবে। কেউ যদি ওদের হারাতে পারে সেটা আমরাই পারব।’ একই সঙ্গে অভিষেক ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগ তোলেন এদিন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতি জনতার জন্য। ধর্মের জন্য নয়। ৪০ বছরের দল কি আমাদের শেখাবে ধর্ম কী?’
উপনির্বাচনের এপিসেন্টার ভবানীপুর। দুই ফুলের টক্কর জমে উঠেছে এই কেন্দ্রে। একদিকে তৃণমূল যেমন দাপটের সঙ্গে এই কেন্দ্রের প্রচার সারছে। বিজেপিও আত্মবিশ্বাসী, ‘গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই’য়ে জিতবে তারাই। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ইতিমধ্যেই বলেছেন, এই ভোটে জিতে তিনি তো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন না। কিন্তু এ রাজ্যে গণতন্ত্রের যে ভাবে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে, ভবানীপুরে বিজেপি জিতলে তারই যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। পাল্টা তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম তাঁকে রাজনীতিকে আনকোড়া ‘বাচ্চা মেয়ে’ বলে কটাক্ষ শানিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহ থেকেই ভোট প্রচারে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। ব্যাক টু ব্যাক সভা করবেন তিনি। সপ্তাহভর ঠাসা প্রচার সূচি তৃণমূল সুপ্রিমোর। এর আগে শনিবার দলনেত্রীর হয়ে প্রচারে নামেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্মপুকুরে লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। বিগ্রহের আরতি, মন্দির প্রদক্ষিণ থেকে প্রসাদ বিতরণ, সব কিছুতেই দেখা যায় তাঁকে। একই সঙ্গে এলাকার হিন্দিভাষী ও মারোয়াড়ি-গুজরাটি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
একুশের সাধারণ নির্বাচনের পর ফের ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে তপ্ত বাংলার রাজনীতির পারদ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই ভোটে প্রার্থী। যেহেতু ভোটে হেরে মুখ্য়মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই নিয়মমাফিক রাজ্য়ের যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। অর্থাৎ এই উপনির্বাচনই এখন বাংলার ‘তখ্ত ফ্যাক্টর’।
আগামী পাঁচ বছর কে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকবেন, তা ঠিক হবে এই উপনির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতেই। ইতিমধ্যেই জোর কদমে উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। নিয়মিত প্রচারে নামছেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার, মদন মিত্ররা দলনেত্রীকে জেতানোর ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এবার ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: আগামী সপ্তাহে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ প্রচার সভা মমতার, আজ থেকেই ময়দানে অভিষেক