Bhabanipur By-Election: ‘আমার প্রচারে সিভিল ড্রেসে কেন এসেছেন?’, পুলিশের সঙ্গে বচসায় প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল
Priyanka Tibrewal: বৃহস্পতিবারের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার কার্যত হাইভোল্টেজই ছিল। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসার পাশাপাশি এক সাধারণ নাগরিকের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয় পদ্ম প্রার্থীকে।
কলকাতা: বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে সাদা পোশাকের পুলিশ কেন! প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার সকালে বচসায় জড়ালেন ভবানীপুরের (Bhabanipur By-Election) গেরুয়া-প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। অভিযোগ, উর্দি না পরে সাদা পোশাকে পুলিশ তাঁর সঙ্গে প্রচারে ছিলেন। তাতেই আপত্তি তোলেন প্রিয়াঙ্কা। স্পষ্ট বলেন, তাঁর সঙ্গে প্রচারে থাকতে গেলে পুলিশের উর্দি পরেই থাকতে হবে।
ওই পুলিশ আধিকারিককে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, একদিন আগেই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তিনি নোটিস পেয়েছেন, বহু মানুষ তাঁর প্রচারে ভিড় করে থাকছেন। এতে সংক্রমণ বিধি ভাঙা হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা ওই পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, এ ভাবে তাঁর মিছিলে পুলিশ থাকলে তিনি কী ভাবে বুঝবেন কে সাধারণ মানুষ আর কে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আপনারা সব সিভিল ড্রেসে ঘুরছেন। অথচ সংবাদমাধ্যমে ছবি যাচ্ছে, আমি এত মানুষ নিয়ে ঘুরছি। আপনারা কেন সিভিল ড্রেসে আসছেন? আপনারা পুলিশের পোশাকে আসুন। তবে তো আমি বলতে পারি, আমার সঙ্গে পুলিশ রয়েছে।”
এরপরই প্রিয়াঙ্কা জানান, তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। তিনি কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে কোনও রকম সুরক্ষা তিনি চাইছেনও না। তবে কলকাতা পুলিশ যদি মনে করে তাঁকে নিরাপত্তা দেবে, তা হলে নিয়ম মেনে পুলিশের পোশাক পরেই আসতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, এই পুলিশই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় অভিযোগটুকুও নেয়নি।
বৃহস্পতিবারের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার কার্যত হাইভোল্টেজই ছিল। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসার পাশাপাশি এক সাধারণ নাগরিকের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয় পদ্ম প্রার্থীকে। প্রিয়াঙ্কা ভোট চাইতে গেলে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনাকে কেন ভোট দেব? আমাদের রাজ্যে কোনও সন্ত্রাস নেই। এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে সুরক্ষায় বাংলা প্রথম।’ যদিও ওই ব্যক্তিকে তিনি বোঝান, এনসিআরবি রিপোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসার আগেই তৈরি হয়েছিল।
হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। ভোটকেন্দ্র ভবানীপুর। একদিকে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি শুধু শাসকদলের সুপ্রিমো বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই নন, দুঁদে রাজনীতিক হিসাবে সর্বভারতীয় স্তরে প্রশংসনীয়। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। রাজনীতিক হিসাবে পরিচিতি না থাকলেও আইনজীবী হিসাবে ইতিমধ্যেই নিজের সাক্ষ্য রেখেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তাঁর আইনি লড়াই এতটাই জোরাল ছিল, কলকাতা হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দেয়। পাশাপাশি গঠন করা হয় সিটও।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোট প্রচারে নেমে ফিরহাদ হাকিম প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পুলিশের বচসাকে শিরোনামে থাকার চেষ্টা বলেই কটাক্ষ করেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছেন উনি। সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়ে যদি ওনার এতই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানাতে পারেন।
আরও পড়ুন: কোমর বেঁধে কয়লা-তদন্ত, ইসিএল কর্তার বাড়িতে হানা CBI’র, তল্লাশি সিআইএসএফ কর্তার ঠিকানাতেও