কোমর বেঁধে কয়লা-তদন্ত, ইসিএল কর্তার বাড়িতে হানা CBI’র, তল্লাশি সিআইএসএফ কর্তার ঠিকানাতেও

Coal Scam: এর আগে ইসিএলের একাধিক শীর্ষ কর্তার বাড়িতেও এই হানাদারি চলে। সেখান থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন উঠে আসে।

কোমর বেঁধে কয়লা-তদন্ত, ইসিএল কর্তার বাড়িতে হানা CBI'র, তল্লাশি সিআইএসএফ কর্তার ঠিকানাতেও
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 11:07 AM

কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) সিবিআই (CBI) অভিযান। আসানসোল ও ফরাক্কায় অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ দলের। আসানসোলে ইসিএল কর্তার বাড়িতে যায় সিবিআই। সিআইএসএফ কর্তার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার সময় থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন ইসিএল কর্তাদের একাংশ এবং সিআইএসএফ জওয়ানদের একাংশের যোগসাজশেই কয়লা পাচারের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল কয়লা পাচারকারীরা। এমনও অভিযোগ, কয়লা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাও এই আধিকারিক-জওয়ানদের সহযোগিতাতেই নিজের সাম্রাজ্য তৈরি করেন।

কয়লা পাচারকাণ্ডে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নামে এফআইআরও হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার একদিকে আসানসোলে, অন্যদিকে ফরাক্কায় সিআইএসএফ কর্তা ও ইসিএল কর্তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। বাড়ির পাশাপাশি অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচুর সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাঁদের আয়ের উৎস, সম্পত্তি, কোথা থেকে এই আধিকারিকরা এত টাকা পেলেন সেসব দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কয়লা পাচারের টাকা থেকেই ধনকুবের হয়ে ওঠেন তাঁরা।

এর আগে ইসিএলের একাধিক শীর্ষ কর্তার বাড়িতেও এই হানাদারি চলে। সেখান থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন উঠে আসে। তেমনই আরও বেশ কিছু ইসিএল আধিকারিকের নামও জানতে পারেন সিবিআই কর্তারা। সূত্রের খবর, এরকম আরও নাম তালিকায় রয়েছে। ধীরে ধীরে সকলের বাড়িতেই অভিযান চলবে।

কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও নেমেছে ময়দানে। কয়লা মামলার তদন্তে ইডির ‘অবাধ বিচরণ’ রুখতে একটি নোটিস জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই নোটিসের বিরুদ্ধে পাল্টা হাইকোর্টে হাজির হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ বাতিল করতে চেয়ে এ বার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)।

সূত্রের খবর, সেই নোটিসে ইডি-র আধিকারিকদের সমন পাঠানো হয়েছিল। যে আধিকারিকরা দিল্লিতে বসে কয়লা মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসূত্র খুঁজছেন, এই নোটিস জারি করে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। এই নোটিসকে বাতিল করতে চেয়ে আদালতে গিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রভাব খাটাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশও আর্থিক তছরুপের তদন্তে বাধা দিতে তাঁর নির্দেশে কাজ করছে বলেও অভিযোগ ইডির।

গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কয়লা মামলায় ইডি-র নজরে রয়েছেন। চলতি মাসেই প্রথমবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বার তলব করা হলেও তিনি অবশ্য যাননি। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে ইডি-র আধিকারিকদের হাজিরা দিতে বলায় পুলিশ তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তাই কলকাতা পুলিশের এই নোটিস খারিজের দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয় দিল্লি হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন:  জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছে ছোট ছোট অসহায় মুখগুলি