AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: বন্ধ জীবন বিমা পলিসি চালু করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা

Saltlake: সল্টলেকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে সঞ্জু শিকদার নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।

Fraud Case: বন্ধ জীবন বিমা পলিসি চালু করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা
আর্থিক প্রতারণায় গ্রেফতার এক। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2021 | 1:36 PM
Share

কলকাতা: বন্ধ হয়ে যাওয়া জীবন বিমা প্রকল্প চালু করিয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ৬৭ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ঈশ্বর দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।

সল্টলেকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে সঞ্জু শিকদার নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদিকে ওই বৃদ্ধের একটি জীবন বিমার পলিসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যা তিনি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছিলেন। সঞ্জুই তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। অভিযোগ, এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেন।

ওই বৃদ্ধের অভিযোগ, সঞ্জু তাঁকে কথা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকায় পুরনো বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসি আবারও চালু হবে। কিন্তু তেমনটা তো হয়ইনি। উল্টে অন্য বিপাকে পড়ে যান ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধ। তিনি জানতে পারেন, তাঁর নামে আরও ১৭টি নতুন পলিসি চালু হয়ে গিয়েছে।

এরপরই অভিযোগকারী ফের যোগাযোগ করেন সঞ্জু শিকদারের সঙ্গে। তখনও সঞ্জু ওই বৃদ্ধকে হাল ছাড়তে না করেন। আরও নানা কথাবার্তার জালে ফেলে ওই বৃদ্ধকে পরিচয় করিয়ে দেন ঈশ্বর দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। অভিযোগ, ঈশ্বর ওই বৃদ্ধকে বলেন এবার তাঁর সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। পুরনো পলিসি চালু করে দেবেন। একই সঙ্গে নতুন পলিসিগুলোরও যথাযথ ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে তার বিনিময়ে ঈশ্বর দাস ৬৮ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলে ওই বৃদ্ধ পুলিশকে জানিয়েছেন।

ঈশ্বর দাসকে ৬৮ লক্ষ টাকা দিলেও কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। উল্টে আরও কয়েকটি নতুন পলিসি চালু হয়ে গিয়েছে। এদিকে নতুন পলিসি খোলার জন্য ৬৮ লক্ষ টাকার মধ্যে কিছু টাকা খরচ করা হলেও বাকি টাকার কোনও হিসাবই নেই। এরপর বৃদ্ধের টনক নড়ে। তিনি বুঝতে পারেন পুরোপুরি প্রতারিত তিনি। যা গিয়েছে তা ফেরত পাওয়ার আশায় অবশেষে পুলিশের কাছে যান।

বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ ডিসেম্বর আমডাঙা এলাকা থেকে সঞ্জু শিকদার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কথায় কথা এরপরই উঠে আসে ঈশ্বর দাস নামে অপর অভিযুক্তের সম্পর্কে তথ্য। বুধবার রাতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ পার্ক সার্কাস এলাকা থেকে ঈশ্বর দাস নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁকেও নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আর্জি জানাবে বলেই সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: কাঁপুনি দিচ্ছে শহরে, গ্রামে হু হু করে নামছে পারদ! জাঁকিয়ে ঠান্ডা বাংলায়