Bikash Bhavan: ভেঙে মাটিতে ফেলা হল লোহার গেট, ভিতরে ঢুকে বিকাশভবনের ‘দখল’ নিয়ে নিলেন চাকরিহারারা
Protest In Bikash Bhavan: কলকাতা পুলিশের চেষ্টার ঊর্ধ্বে উঠে সব বাধা টপকে বিকাশভবনের 'দখল' নিয়ে নিলেন চাকরিহারারা। গেটে ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। লোহার গেট একেবারে ভেঙে মাটিতে ফেলে এগিয়ে যান চাকরিহারারা।

সুমন মহাপাত্র: আধ ঘণ্টার চেষ্টা। হকের দাবিতে বিকাশভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন চাকরিহারারা। প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশও। প্রস্তুত রাখা ছিল কাঁদানে গ্যাস। কিন্তু কলকাতা পুলিশের চেষ্টার ঊর্ধ্বে উঠে সব বাধা টপকে বিকাশভবনের ‘দখল’ নিয়ে নিলেন চাকরিহারারা। গেটে ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। লোহার গেট একেবারে ভেঙে মাটিতে ফেলে এগিয়ে যান চাকরিহারারা।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা হকের চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে ছিলেন তাঁরা। করছিলেন অনশনও। আর চারদিকে মোতায়েন বিধাননগর পুলিশ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছিলেন তাঁরা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত করুণাময়ীর বুকে ছিল এই চিত্র। পরে যুদ্ধ আবহে পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে উঠে যেতে বলা হয় চাকরিহারাদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আবারও বিকাশভবন অভিযানে আসেন চাকরিহারারা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে ভেবে আগেভাগেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। জল কামানেরও ব্যবস্থা ছিল।
বেলা গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান চাকরিহারারা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিকাশভবনের সামনের দিকে গেট ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। একটা সময়ে বিকাশভবনের গেট ভেঙে ফেলেন তাঁরা। বিকাশভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, ভাতা নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। রিভিউ পিটিশন সম্পর্কে রাজ্য তাঁদের কাছে কিছু খোলসা করে জানায়নি, সেটা সামনে আনতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, সম্পূর্ণ তাঁরা অন্ধকারে। যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা বিকাশভবন প্রকাশ করেনি। আচার্য সদনের তরফ থেকে সেই তালিকা যাতে অবিলম্বে প্রকাশ করা হয়, সেই দাবিতে চলছে আন্দোলন।
পুলিশ আধিকারিকরা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এক আন্দোলনকারী বলেন, “এটা কিছুই নয়। নবান্নের ১৪ তলার গেট ভাঙব আমরা। যোগ্যদের তালিকা বাঁচাতেই হবে।”

