Bikash Ranjan Bhattacharya: ‘RSS এর পরামর্শে নড়াচড়া করেন মমতা’, বাঙালি-অবাঙালি বিতর্কের মধ্যেই তোপ বিকাশের

Bikash Ranjan Bhattacharya: কেউ কেউ বলছেন অন্য কেউ এসে আমাদের ওপর চেপে বসছে, আমরা সেটা হতে দিচ্ছি কেন? অন্য সংস্কৃতি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকলেই আমরা নিজেদের ভুলে যাব কেন? চাপানউতোর চলছেই।

Bikash Ranjan Bhattacharya: ‘RSS এর পরামর্শে নড়াচড়া করেন মমতা’, বাঙালি-অবাঙালি বিতর্কের মধ্যেই তোপ বিকাশের
মমতাকে তোপ বিকাশের Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2024 | 11:54 PM

কলকাতা: “প্রতিটা রাজ্যের একটা পরিচয় আছে, সংস্কৃতি আছে। তবে বাংলার পরিচয় যাঁরা নষ্ট করার চক্রান্ত করছেন আমি তাঁদের সকলকে সাবধান করছি।” একদিন আগে করা মমতার এই মন্তব্য নিয়েই এখন রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায় জোর বিতর্কের ঝড়। একদিকে যেমন মন্তব্যের সমর্থনে উঠে এসেছে নানা মত, তেমনই তুলোধনাও করছেন অনেকে। বাম নেতা তথা বিখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তো স্পষ্টতই বলছেন, “আইনি কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে এরকম নাটকবাজি করাটা অত্যন্ত অশ্লীল, এটা অসভ্যতামি।”

যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আবার মমতার পক্ষেই ব্যাট ধরেছেন। তিনি বলছেন, “অন্য রাজ্য থেকে মানুষ আসুক, পরিষেবা নিক, কিন্তু বাংলা মানবিকতার সব দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু তার ঐতিহ্য উজ্জ্বল রেখেই সেটা করবে।” যদিও বিকাশ ভট্টাচার্য বলছেন, “এটা পরিকল্পিত কাজ। যাঁরা বলছেন বিলম্বিত বোধদয় তা নয়। ২০১১ সালের  পর থেকে গোটা প্রশাসনকে ব্যবহার করেছেন, দলকে ব্যবহার করেছেন দুর্নীতিমূলক উপার্জনের জন্য। কাটমানি, জমি দখল, এমন কোনও অপরাধ নেই যা বাংলায় হয়নি। সবই ওনার প্রেরণায়।” শুধু এখানেই না থেমে এক যোগে আরএসএস ও মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিকাশ। 

তাঁর দাবি, আরএসএস এর পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী নড়াচড়া করেন। তিনি বলছেন, “আমি তো অনেকদিন থেকে বলে আসছি এ কথা। এখন মারাত্মক অপরাধমূলক কথা বলেছেন। বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন করার চেষ্টা করছেন। বাংলায় বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন। অনেকে বাংলা সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে নিয়েছে। উনি তো ইউসুফ পাঠানকে, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহাকে এনেছেন। এখন নির্বাচনের পর বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন করছেন। এই বিভেদই আরএসএস চায়। উনি সেটা খুব সূচারু রূপে খেলে যাচ্ছেন।”

তবে মমতা যে উদ্বিগ্ন তা ভালই বোঝা গিয়েছে ইতিমধ্যে। স্পষ্ট বলছেন, “এরপর তো এই রাজ্যের পরিচয় নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলায় কথা বলার লোক খুঁজে পাবেন না।” পাল্টা বিকাশ বলছেন, “কী করে পাবেন বাংলা ভাষার লোক? উনিই তো বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলিকে তুলে দিচ্ছেন। উনি ইংরাজি সাহিত্য সম্পর্কে এতই জানেন যে ইংরাজি মাধ্যমগুলিকে মদত দিচ্ছেন।” যদিও প্রশ্ন উঠছে অনেক মহল থেকেই। কেউ কেউ বলছেন অন্য কেউ এসে আমাদের ওপর চেপে বসছে, আমরা সেটা হতে দিচ্ছি কেন? অন্য সংস্কৃতি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকলেই আমরা নিজেদের ভুলে যাব কেন? অন্য প্রদেশের মানুষ কর্মসূত্রে ভিন্ন ভিন্ন দেশে, ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে থাকেন। পৃথিবীর সব প্রান্তেই তেমনটা হয়। কিন্তু তা বলে বাংলায় বাঙালির অস্মিতা মুছে যাবে? চাপানউতোর চলছেই।