Biron Biswas: ‘পরশু শপথ করিয়ে দিতে পারি’, বায়রন বিশ্বাসের শপথ নিয়ে কাটল জট!
Biron Biswas: সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী বিধানসভার সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা স্থির করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন রাজ্যপাল।
কলকাতা : বায়রন বিশ্বাসের (Biron Biswas) শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা অবশেষে কাটতে চলেছে! রাজভবন সূত্রে খবর, স্পিকারের ওপরেই দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অর্থাৎ বিধানসভাই স্থির করবে কবে সাগরদিঘির জয়ী কংগ্রেস সদস্যের শপথ গ্রহণ হবে। তবে এ ব্যাপারে সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও অর্ডার আসেনি। এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠিও আসেনি। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও রাজভবন থেকে কোনও চিঠি আসেনি বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। গত ২ মার্চ কংগ্রেসের টিকিটে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।
সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব শপথ করানো হবে। পরিষদীয় দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমার কাছে আসেনি সে চিঠি। কাল যদি আমার কাছে চিঠি আসে, আমি পরশু শপথ করিয়ে দিতে পারি।” স্পিকারের বক্তব্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে, সব ঠিক থাকলে বুধবার হতে পারে বায়রনের শপথ।
সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী বিধানসভার সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা স্থির করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। তিনি নিজে করাতে পারেন অথবা স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য দায়িত্ব দিতে পারেন। আবার কখনও তিনি চাইলে ডেপুটি স্পিকারকেও দায়িত্ব দিতে পারেন। সাধারণভাবে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। তবে কখনও কখনও ব্যতিক্রম হয়। তবে বায়রনের ক্ষেত্রে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।