AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যেই ‘ঘর ওয়াপসি’ বিষ্ণুপুরের বিধায়কের

Bishnupur: বাঁকুড়া শহরের নামজাদা ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষ এক সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যেই 'ঘর ওয়াপসি' বিষ্ণুপুরের বিধায়কের
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 3:39 PM
Share

কলকাতা: ফের তৃণমূলে ফিরলেন তন্ময় ঘোষ। গত বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির মুখ ছিলেন তন্ময়। নির্বাচনে জেতেনও। মাস তিনেক বিধায়ক হিসাবে কাজও করেন। কিন্তু এরই মধ্য়ে হঠাৎ সোমবার ব্রাত্য বসুর হাত ধরে পুরনো দলে ফেরেন তিনি। ‘ঘর ওয়াপসি’র পর তন্ময় ঘোষ বলেন, বাংলাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এ ভাবে বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়। তাই পুরনো দলেই ফিরলেন।

বাঁকুড়া শহরের নামজাদা ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষ এক সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর পরিচিতিও ভালই ছিল। তবে দল তাঁকে ভোটের মুখ করতে চাননি। এর পরই আচমকা একদিন তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। ভোটের আগে বিজেপিতে যখন যোগদানের হিড়িক চলছিল, সেই স্রোতে গা ভাসান তন্ময় ঘোষও। বিজেপি যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে পদ্মশিবির। তৃণমূলের শুভাশিস বটব্যালকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।

সূত্রের খবর, ভোটে জিতলেও নতুন দলের সঙ্গে এই তিন মাসেই দূরত্ব বাড়তে শুরু করে বিধায়কের। এরপরই সোমবার কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগদান করেন। তন্ময় ঘোষ বলেন, “বর্তমানে বাংলাজুড়ে বিজেপির একটা প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। কিছুদিন আগে বিধানসভা ভোটে একটা জোরপূর্বক বাংলা দখলের চেষ্টা করল। সর্বত্র এরা কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে সকলকে ভয় দেখিয়ে বাঙালির যে অধিকার তার উপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। আমাদের বাংলার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ। আমি সারা বাংলায় দলমত নির্বিশেষে সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে বলব, সকলে আমাদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান।”

ব্রাত্য বসুর কথায়, “ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপির যে প্রতিহিংসার রাজনীতি, তা বিজেপির জনপ্রতিনিধিরাই মানতে পারছেন না। রাজনীতিতে না পেরে, উন্নয়নে না পেরে যে ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি যে ভাবে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাব। মনে হচ্ছে, কেন্দ্র বাংলা ও বাঙালিকে ছোট করতে চাইছে। তন্ময় প্রথম তার প্রতিবাদ জানাল। আমি ওকে কুর্নিশ জানাই।” তবে পুরনো দলে ফিরলেও বিজেপির বিধায়ক পদ তিনি ছেড়ে এসেছেন কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তন্ময় ঘোষ। তাঁর কথায়, “এ নিয়ে যা বলার আমার ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বই বলবে।”

এদিকে বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগের পরই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের আগেই এ রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে। এই সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। তার আগেই রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে বলে সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মসমিতির বৈঠকে বলেন এই বিজেপি নেতা। আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় তত্পর সিবিআই, কেন নিস্পৃহ সিট? ফের হাইকোর্টে মামলা?