জেলায় জেলায় তত্পর সিবিআই, কেন নিস্পৃহ সিট? ফের হাইকোর্টে মামলা?

Post Poll Violence: জেলায় জেলায় যাচ্ছে সিবিআই টিম, কিন্তু কোথায় গেল সিট? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন মামলাকারীরা।

জেলায় জেলায় তত্পর সিবিআই, কেন নিস্পৃহ সিট? ফের হাইকোর্টে মামলা?
অলঙ্করণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 2:42 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নয়া মোড়। জেলায় জেলায় যাচ্ছে সিবিআই টিম, কিন্তু কোথায় গেল সিট? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন মামলাকারীরা। তাঁদের প্রশ্ন সিবিআই তত্পর হলেও সিট কেন নেই? পুলিশ কর্তাদের নিয়ে কবে গঠিত হবে সিট?

উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলায় সিবিআই (CBI)-কে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত ১৯ অগস্ট এই মামলার রায় দেয় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তম ডিভিশন বেঞ্চ। খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করবে সিবিআই এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার তদন্ত করবে সিট।

যার জেরে চার জোনেই ক্যাম্প করে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একটি ক্যাম্প দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি ক্যাম্প উত্তরবঙ্গের জন্য। সেই ক্যাম্প কোচবিহারে হয়েছে। এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। কলকাতা থেকে ওত দূরে গিয়ে আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সময় সাপেক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাকি দুটি ক্যাম্প চলছে কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করবে এই দুটি ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে স্পট ভিজিট শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। কিন্তু আদালতের রায়ের এতদিন পরেও সিটের কার্যকারীতা সেভাবে চোখে পড়েনি।

সিটের যে নির্দিষ্ট কাজের জোন, তাও চিহ্নিত করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল, সিটের তদন্তভার থাকবে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরে। তিনি গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে কলকাতা হাইকোর্টে।

মামলাকারীদের একাংশের বক্তব্য, সিবিআই যেখানে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সেখানে সিটের তরফ থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। যেহেতু বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, সেক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অর্থাত্ যাঁর নজরে থাকবে গোটা বিষয়টি, তিনি চূড়ান্ত হননি। সিটের টালবাহানার জন্যই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করতে চলেছেন মামলাকারীদের একাংশ।

উল্লেখ্য, সোমবারই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তে শান্তিনিকেতনে যায় সিবিআই। ৯ জন তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে নানুর বিধানসভার অন্তর্গত উত্তর নারায়ণপুর গ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তে এবার শান্তিনিকেতন থানায় যায় সিবিআই একটি টিম । শান্তিনিকেতন থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা।

অভিযোগকারী মহিলার বাড়িতে যান তাঁরা। কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও। উল্লেখ্যযোগ্যভাবে, তদন্ত চলাকালীন শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে প্রবেশ করতে দিলেন না বাড়ির ভেতরে। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেই বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে।  আরও পড়ুন: সিপিএম থেকে ‘সাসপেন্ডেড’ অনিল কন্যা! ভুলের ফিরিস্তি দিয়ে চিঠি অজন্তাকে