ভিডিয়ো: শান্তির বার্তা নিয়ে পথে বামেরা, পাল্টা ‘দেশদ্রোহী’ বলে কটাক্ষ করে ময়দানে বিজেপি
CPM-BJP: আজ সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ মৌলালিতে যুদ্ধ না চেয়ে পথে নামেন বামেরা। এরপর দেখা যায় পতাকা হাতে ময়দানে নামে বিজেপিও। জাতীয় পতাকা হাতে মৌলালিতেই কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে নেমে পড়েন বিজেপির সদস্যরা।

আজ সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ মৌলালিতে যুদ্ধ না চেয়ে পথে নামেন বামেরা। এরপর দেখা যায় পতাকা হাতে ময়দানে নামে বিজেপিও। জাতীয় পতাকা হাতে মৌলালিতেই কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে নেমে পড়েন বিজেপির সদস্যরা। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বিজেপি কর্মীদের পুলিশ প্রিজ়ন ভ্যানে তোলে। পুলিশের গাড়িতে উঠে যাওয়ার সময়ও বিজেপি কর্মীরা দাবি করতে থাকেন, বামেরা দেশ বিরোধী। স্লোগান ওঠে ‘বন্দে মাতরম’ সজল ঘোষ বলেন, “এরা নকশাল। পুলিশ মারে। পুলিশ এখন দেশদ্রোহীদের সঙ্গ দিচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “আমরা পাকিস্তানের ধ্বংস চাই….।এরা দেশদ্রোহী।”
অপরদিকে এক বামনেত্রী বলেন, “আমরা তো শান্তি চাইছিলাম। শান্তি মিছিল করছিলাম।” উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা খুন করেছিল ছাব্বিশ জন নীরিহ পর্যটককে। যাঁরা বেঁচে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছিলেন তাঁদের দাবি, জঙ্গিরা ধর্ম জেনে খুন করেছে। সেই ঘটনার পর জ্বলে ওঠে গোটা দেশ। এরপর জানা যায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পরবর্তীতে, অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১০০ জন জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। তারপরই রাতের অন্ধকারে চোরের মতো ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে (গুজরাট, রাজস্থান, কাশ্মীর, পঞ্চাব) টানা হামলা চালায় পাকিস্তান। যোগ্য জবাব দেয় সেনা। ভারত-পাক এই সংঘাতের আবহে সর্বদল বৈঠক ডাকে মোদী সরকার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাম নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে প্রথম তারা সম্মতিও জানান। পরে সংঘাত শুরু হতেই ‘শান্তি চাই’ বলে পথে নামেন তারা।





