Bharati Ghosh BJP National Spokesperson: বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়ল ভারতী ঘোষের, এবার দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 21, 2021 | 2:48 PM

Bharati Ghosh: খাকি উর্দিতে এক সময় জঙ্গলমহল দাপিয়ে বেরিয়েছেন ভারতী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পছন্দের পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী।

Follow Us

নয়া দিল্লি: দায়িত্ব বাড়ল ভারতী ঘোষের। বিজেপির জাতীয় স্তরে মুখপাত্র হিসাবে ঘোষণা করা হল ভারতী ঘোষের নাম। রবিবারই তাঁর নাম ঘোষণা করেছে দল। পর পর দু’টি ভোটে হেরে বঙ্গ বিজেপিতে একেবারে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন ভারতী। ভোটের ফল প্রকাশের পর দলের এত লড়াই আন্দোলন, সেখানে দেখা যায়নি প্রাক্তন এই দাপুটে আইপিএস অফিসারকে। সেই ভারতীই এবার বিজেপির জাতীয় স্তরে মুখ। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, এ রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই সংগঠনের হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।

২০১২ সাল। তখন ক্ষমতায় তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত পছন্দের আইপিএস ছিলেন ডাকাবুকো ভারতী। তাঁকে ঝাড়গ্রামের পুলিশসুপার করেন মমতা। পরের বছর মেদিনীপুরের পুলিশসুপারের দায়িত্ব দেন ভারতীকে। প্রায় পাঁচ বছর বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ভারতী ঘোষের কাঁধেই। এই সময়ের মধ্যেই একবার জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে তৎকালীন পুলিশসুপার ভারতী ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাধে।

খাকি উর্দিতে এক সময় জঙ্গলমহল দাপিয়ে বেরিয়েছেন ভারতী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পছন্দের পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী। এক সময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে মমতার ভরসার মুখ ছিলেন ভারতী ঘোষই। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই বিজেপিতে যোগ দেন ভারতী ঘোষ। ঘাটাল থেকে দেবের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয় ভারতীকে। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন সে বার। তবে ভোটের বাক্সে সে ঝড়ের কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। হেরে যান দেবের কাছে।

তবে দল তাঁর উপর আস্থা হারায়নি। সে কারণেই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও ফের ময়দানে নামানো হয় ভারতী ঘোষকে। ডেবরায় প্রার্থী হন তিনি। উল্টোদিকে তৃণমূলের মুখ হন আরেক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। এই ভোটেও ভারতীর হার হয়। তবে ভোট প্রচারে ‘১৯-এর তুলনায় দ্বিগুন ঝাঁঝ দেখা গিয়েছিল ভারতী ঘোষের।

ভোট প্রচারে গিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করেছিলেন ভারতী। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যাও শুনিয়েছিলেন। টিভি নাইন বাংলাকেই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ভারতী ঘোষ বলেছিলেন, “পুলিশ সুপার একজন সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকেন। তাঁর নিজের কোনও কথা বলার অধিকার নেই। সরকারের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়তে বাধ্য হয়। নবান্ন থেকে অনুমোদন করা স্ক্রিপ্টই পড়তে হন। যদি লেখা থাকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জঙ্গলমহলের ফুটবল কাপে পাঁচ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন। জঙ্গলমহলের মা। আমাকে সেটাই পড়তে হবে।” সেই ভারতী ঘোষকে আবারও সক্রিয় রাজনীতির অলিন্দে তুলে আনল বিজেপি। এবার তিনি দলের জাতীয় মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: G D Birla School Agitation: ‘চাকরিতে ফেরান, বকেয়া দিন’, জিডি বিড়লায় আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ

নয়া দিল্লি: দায়িত্ব বাড়ল ভারতী ঘোষের। বিজেপির জাতীয় স্তরে মুখপাত্র হিসাবে ঘোষণা করা হল ভারতী ঘোষের নাম। রবিবারই তাঁর নাম ঘোষণা করেছে দল। পর পর দু’টি ভোটে হেরে বঙ্গ বিজেপিতে একেবারে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন ভারতী। ভোটের ফল প্রকাশের পর দলের এত লড়াই আন্দোলন, সেখানে দেখা যায়নি প্রাক্তন এই দাপুটে আইপিএস অফিসারকে। সেই ভারতীই এবার বিজেপির জাতীয় স্তরে মুখ। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, এ রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই সংগঠনের হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।

২০১২ সাল। তখন ক্ষমতায় তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত পছন্দের আইপিএস ছিলেন ডাকাবুকো ভারতী। তাঁকে ঝাড়গ্রামের পুলিশসুপার করেন মমতা। পরের বছর মেদিনীপুরের পুলিশসুপারের দায়িত্ব দেন ভারতীকে। প্রায় পাঁচ বছর বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ভারতী ঘোষের কাঁধেই। এই সময়ের মধ্যেই একবার জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে তৎকালীন পুলিশসুপার ভারতী ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাধে।

খাকি উর্দিতে এক সময় জঙ্গলমহল দাপিয়ে বেরিয়েছেন ভারতী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পছন্দের পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী। এক সময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে মমতার ভরসার মুখ ছিলেন ভারতী ঘোষই। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই বিজেপিতে যোগ দেন ভারতী ঘোষ। ঘাটাল থেকে দেবের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয় ভারতীকে। প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন সে বার। তবে ভোটের বাক্সে সে ঝড়ের কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। হেরে যান দেবের কাছে।

তবে দল তাঁর উপর আস্থা হারায়নি। সে কারণেই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও ফের ময়দানে নামানো হয় ভারতী ঘোষকে। ডেবরায় প্রার্থী হন তিনি। উল্টোদিকে তৃণমূলের মুখ হন আরেক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। এই ভোটেও ভারতীর হার হয়। তবে ভোট প্রচারে ‘১৯-এর তুলনায় দ্বিগুন ঝাঁঝ দেখা গিয়েছিল ভারতী ঘোষের।

ভোট প্রচারে গিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করেছিলেন ভারতী। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যাও শুনিয়েছিলেন। টিভি নাইন বাংলাকেই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ভারতী ঘোষ বলেছিলেন, “পুলিশ সুপার একজন সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকেন। তাঁর নিজের কোনও কথা বলার অধিকার নেই। সরকারের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়তে বাধ্য হয়। নবান্ন থেকে অনুমোদন করা স্ক্রিপ্টই পড়তে হন। যদি লেখা থাকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জঙ্গলমহলের ফুটবল কাপে পাঁচ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন। জঙ্গলমহলের মা। আমাকে সেটাই পড়তে হবে।” সেই ভারতী ঘোষকে আবারও সক্রিয় রাজনীতির অলিন্দে তুলে আনল বিজেপি। এবার তিনি দলের জাতীয় মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: G D Birla School Agitation: ‘চাকরিতে ফেরান, বকেয়া দিন’, জিডি বিড়লায় আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ

Next Article