G D Birla School Agitation: ‘চাকরিতে ফেরান, বকেয়া দিন’, জিডি বিড়লায় আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ
G D Birla School Agitation: বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ১১০ জন অশিক্ষক শিক্ষাকর্মীকে কোনও নোটিশ ছাড়াই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: ফের জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালেন স্কুলের অশিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও অভিভাবকরা। রবিবার স্কুলের সামনে মৌন মিছিলও করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ১১০ জন অশিক্ষক শিক্ষাকর্মীকে কোনও নোটিশ ছাড়াই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি। এই অশিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হন অভিভাবকরাও। তাঁদের বক্তব্য, বকেয়া টাকা মেটাতে হবে এবং কী কারণে এই অশিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের বহিষ্কার করা হল তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে। এদিন সকাল থেকে স্কুলের গেটের সামনে চেয়ার টেবিল নিয়ে অবস্থানে বসেন বিক্ষোভকারীরা।
করোনা আবহে চলে গিয়েছে চাকরি। অথচ পাননি প্রাপ্য বকেয়া টাকাও। দেড় বছর পর স্কুল খোলার প্রথম দিনই জিডি বিড়লা স্কুলে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। হাতে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। তাতে লেখা , ‘স্কুলের ফিজ় না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের পাওনা টাকা আটকানো যাবে না’, ‘আমাদের সুবিচার চাই।’
রবিবারও সে ছবিই দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের একজন জানান, “অতিমারি পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না দেখিয়ে রাতারাতি নোটিস দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর আমাদের চিঠি হাতে পাই। আমি ক্লাস করাচ্ছিলাম। তখনই হাতে টার্মিনেশন লেটার পাই।” এভাবে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার কারণ, একই সঙ্গে বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ চলে এদিন।
শুধু জিডি বিড়লাই নয়, মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলেও প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ দেখান শিক্ষিকারা। ছিলেন অশিক্ষক শিক্ষাকর্মীরাও। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালে বিনা নোটিশে বেশ কয়েকজনকে বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী এবং স্কুলের বাস ড্রাইভারও রয়েছেন। অথচ এখনও তাঁদের পাওয়া বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি। বিক্ষোভরত কর্মীদের বক্তব্য, ‘আমাদের বক্তব্য আমাদের প্রাপ্য যা টাকা তা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
করোনা আবহে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে চাকরি হারা হন অশোকা হল গ্রুপ অফ স্কুলসের ১১০ জন। যেখানে শিক্ষাকর্মী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী থেকে প্রত্যেকে ছিলেন। ২০-৩০ বছর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদেরও বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা না পেয়েছেন পাওনা টাকা, না পেয়েছেন নোটিশ পিরিয়ড। রবিবার ফের জিডি বিড়লায় কাজ ফেরানো ও বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ চলে।
আরও পড়ুন Ballygung: অমানবিক! ক্রনিক কিডনি রোগীকে জল নিয়ে বালিগঞ্জের সভাগৃহে ঢুকতে বাধা