AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ballygung: অমানবিক! ক্রনিক কিডনি রোগীকে জল নিয়ে বালিগঞ্জের সভাগৃহে ঢুকতে বাধা

Kolkata: নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত কার‌ও জন্য বদল করা যাবে না।

Ballygung: অমানবিক! ক্রনিক কিডনি রোগীকে জল নিয়ে বালিগঞ্জের সভাগৃহে ঢুকতে বাধা
কিডনির রোগীকে জল নিয়ে সভাগৃহে ঢুকতে বাধা। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 3:11 PM
Share

কলকাতা: জল‌ই জীবন। কিন্তু সেই জল নিয়েই কলকাতার বালিগঞ্জে অবস্থিত এক সভাগৃহে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন চিকিৎসক পত্নী। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীকে জলের বোতল নিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ চিকিৎসক দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের।

বালিগঞ্জের ওই সভাগৃহে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক দ্বৈপায়ন বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী মহুয়া বিশ্বাস। মহুয়াদেবীর কিডনির সমস্যা রয়েছে। সময়মতো জল খাওয়াটা তাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অভিযোগ সভাগৃহের ভিতরে কিছুতেই তাঁকে জল নিয়ে ঢুকতে দেননি নিরাপত্তা রক্ষী। তিনি জানিয়ে দেন, কার্পেটে জল পড়ে গেলে তার দায় নেওয়া সম্ভব নয়! তাই নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই এক হবে।

স্ত্রী মহুয়া বিশ্বাসের শারীরিক পরিস্থিতি বিচার করে মানবিক হ‌ওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন চিকিৎসক দ্বৈপায়ন বিশ্বাসও। কিন্তু আর্জিই সার। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সিদ্ধান্ত কার‌ও জন্য বদল করা যাবে না। মহুয়ার বক্তব্য, জলে প্রেক্ষাগৃহের কী ক্ষতি হতে পারে? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কার্পেটে জল পড়ে কার্পেট পচে যেতে পারে। যা শুনে অভিযোগকারীরা বলছেন, এ ধরনের আচরণ অমানবিক বললেও কম বলা হয়।

মহুয়া বিশ্বাস বলেন, “এখানে একটা লাফটার শো হচ্ছে। আমি যখন ঢুকছি আমাকে বলল জলের বোতল নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না। আমার স্বামীও সঙ্গে ছিলেন। উনি বললেন, ‘আপনাদের কাছে কি এমন কোনও লিখিত নির্দেশিকা আছে যা দেখে আমি বুঝতে পারি এখানে জল নিয়ে ঢোকা যাবে না’। উনি সেটা দেখাতে পারলেন না। কিন্তু জলটা আমাকে নিতে দিলেন না। আমাকে বলা হয়, জল খেতে হলে আপনি বাইরে এসে জল খেয়ে যাবেন। আমি ভিতরে ছিলাম। খুবই কষ্ট হয়েছে। কারণ আমার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আমার প্রতিটা মুহূর্ত জল লাগে। খুব বেশি জল তো খেতে পারি না। কিন্তু বার বার সামান্য জল খেতে হয়। কারণ গলা শুকিয়ে যায়। সেখানে এতক্ষণ জল ছাড়া বসে থাকা আমার পক্ষে ভীষণই কষ্টকর।”

এদিকে ওই সভাগৃহের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি জানান, “সভাঘরের কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কেউ জল, খাবার নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। যদি জল কেউ নিয়ে ঢোকে, আচমকা যদি জল পড়ে যায়, সেখানে নোংরা হবে। আমি দু’ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। কোনওদিনই কনসিডারের বিষয়টি ওঠেনি। খাবার কিংবা জল অফিস ঘরে জমা রেখেই ভিতরে ঢোকেন দর্শকরা।”

এ বিষয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার এক কর্মী ধীরজ জয়সওয়াল বলেন, “অডিটোরিয়ামের যে নিয়ম কানুন তা নিরাপত্তা রক্ষীরাই দেখেন। এ প্রসঙ্গে ওনাদের কথাই শেষ কথা। আমাদের কিছু বলার জায়গা নেই।”

আরও পড়ুন: TMC Leader Death: ‘তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গুলি চলাটা নতুন কিছু নয়’, ক্যানিংকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ