Awas Yojana: বাংলার বাড়ির কিস্তির টাকা পেতে ১০০০ টাকা লাগছে! শোরগোল মেমারিতে

Awas Yojana: আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বাড়িতে এসে বলে যাচ্ছেন, ১০০০ টাকা পঞ্চায়েতে জমা না করলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পঞ্চায়েতে এক হাজার টাকা করে জমা করছেন সুবিধাভোগীরা।

Awas Yojana: বাংলার বাড়ির কিস্তির টাকা পেতে ১০০০ টাকা লাগছে! শোরগোল মেমারিতে
আবাস যোজনার কিস্তির টাকা পেতে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2025 | 10:29 PM

মেমারি: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দুই কিস্তিতে সুবিধাপ্রাপকদের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেখানেও ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’-র নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার এক হাজার টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতে দিতে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মেমারি ১ ব্লকের দুর্গাপুর পঞ্চায়েতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সরকারি অনুদান-প্রাপকদের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক ও জেলা প্রশাসন।

আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বাড়িতে এসে বলে যাচ্ছেন, ১০০০ টাকা পঞ্চায়েতে জমা না করলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পঞ্চায়েতে এক হাজার টাকা করে জমা করছেন সুবিধাভোগীরা। আবার সেই টাকার একটি রসিদ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। যাতে লেখা আছে ডেভলপমেন্ট চার্জ। অর্থাৎ ডেভেলপমেন্ট চার্জ বাবদ এক হাজার টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করা হচ্ছে পঞ্চায়েতের তরফে। দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এলাকার সুবিধাভোগীরা জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই টাকা দেওয়ার জন্য বলছেন।

মেমারি ১ নম্বর ব্লকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে মেমারি ১ নম্বর ব্লকের প্রায় ৪৫০০ জন সরকারি অনুদান পাচ্ছেন। তাঁদের বেশিরভাগ জনের কাছেই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছে। অভিযোগ, অনুদান পেয়ে যাঁরা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করছেন, তাঁদের কাছ থেকেই ব্লকের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’ নিচ্ছেন।

এই খবরটিও পড়ুন

দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নিতাই ঘোষ অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে জোর করে উন্নয়ন খাতে অর্থ দিতে বলিনি। জমির মিউটেশন বা অন্য খাতে কেউ টাকা দিতে পারেন।”

মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দল ও সরকারের নির্দেশ রয়েছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রাপকদের কাছ থেকে কেউ টাকা নিতে পারবে না। অভিযোগ জমা পড়লে প্রকৃত ঘটনা কি তা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ‘কীর্তি’-র তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা শান্তরূপ দে বলেন, “যা বোঝা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তা ব্যক্তিরাও এখন মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন। তার প্রমাণ ‘ডেভেলপমেন্ট ফি’-এর নামে পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সহায়কের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দেওয়া রসিদ দিয়ে বাংলার বাড়ি প্রাপকদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়।” ঘটনা জানাজানি হতেই জেলাশাসক আয়েশা রানি এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।