Maha Kumbh: এক রাত থাকার জন্য এক লক্ষ টাকা! মহাকুম্ভে ফুলেফেঁপে উঠছেন ব্যবসায়ীরা

Maha Kumbh: প্রয়াগরাজে থাকার জায়গা পেতেও কালঘাম ছুটছে পুণ্যার্থীদের। একটি তাঁবুর জন্য প্রতি রাতে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পড়ছে। লাক্সারি তাঁবুর জন্য প্রতিরাতে ১ লক্ষ টাকাও দিতে হচ্ছে। লাক্সারি হোটেলগুলিতে একরাত থাকার জন্য ১১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও তা ৪০ হাজারও।

Maha Kumbh: এক রাত থাকার জন্য এক লক্ষ টাকা! মহাকুম্ভে ফুলেফেঁপে উঠছেন ব্যবসায়ীরা
মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের ঢল
Follow Us:
| Updated on: Jan 14, 2025 | 10:16 PM

প্রয়াগরাজ: ১২ বছর পর মহাকুম্ভ। ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। চলবে দেড় মাস। প্রশাসনের ধারণা, দেড় মাসে ৪০ কোটির বেশি পুণ্যার্থীর পা পড়বে প্রয়াগরাজ। আর সেই অনুমান যে সত্যি হতে চলেছে, মহাকুম্ভ মেলার শুরুতেই তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। হোটেলে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাড়তি ট্রেন দিয়েও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ফ্লাইট বুকিং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসছেন প্রয়াগরাজে।

মহাকুম্ভ মেলায় পৌঁছতে আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন অনেক যাত্রী। ixigo-র গ্রুপ সিইও অলোক বাজপেয়ী বলেন, “প্রয়াগরাজে এবার ২০টি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমান পৌঁছে যাচ্ছে। আগের কুম্ভমেলায় শুধু দিল্লি থেকে সরাসরি প্রয়াগরাজে আসার সুবিধা ছিল। এবার তাই বিমানে করে প্রয়াগরাজে আসা পুণ্যার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।”

গতবছরের এই সময়ের চেয়ে তাই প্রয়াগরাজে আসার জন্য বিমান বুকিংয়ের সংখ্যা ১৬২ শতাংশ বেড়েছে। প্রয়াগরাজের নিকটবর্তী বারণসী এবং লখনউ বিমানবন্দরেও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। বারাণসীতে বিমান বুকিং বেড়েছে ১২৭ শতাংশ। আর লখনউয়ে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ৩০ দিন আগে বিমান বুকিং করলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রয়াগরাজে আসতে গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগছে। তবে বিমানের সংখ্যার তুলনায় টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় ভোপাল থেকে সরাসরি প্রয়াগরাজে আসার টিকিটের দাম ১৭ হাজার টাকাও পড়ছে। আবার যে দিনগুলিতে পুণ্যস্নান পড়েছে, সেইসময় টিকিটের দাম অনেকটাই বেশি। যেমন, ২৭ জানুয়ারি মুম্বই থেকে প্রয়াগরাজে আসতে বিমানভাড়া পড়ছে ২৭ হাজার টাকা। গতবছরের এই সময়ের তুলনায় জয়পুর, বেঙ্গালুরু, নাগপুর, কোচি এবং মুম্বইয়ের মতো জায়গা থেকে প্রয়াগরাজ আসতে তিনগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।

এই খবরটিও পড়ুন

মেক মাই ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও গ্রুপ সিইও রাজেশ মাগো বলেন, “সবচেয়ে বেশি বিমান বুকিং হয়েছে মহাকুম্ভ মেলার সূচনা ও সমাপ্তির সময়।” ইজ মাই ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রিকান্ত পিট্টি বলেন, “দেশ এবং বিদেশ থেকে বুকিং করা হচ্ছে। গ্রুপ বুকিংও করা হচ্ছে। শুধু ৫০ কিংবা তাঁর বেশি বয়সী নাগরিকরা নন, কমবয়সীরা মহাকুম্ভ নিয়ে উৎসাহিত।” ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের সভাপতি রাজীব মেহরা বলেন, গতবারের থেকে এবার বিদেশি পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি। শুধু বিমান বুকিং নয়, ট্রেনও যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। গতবছরের এই সময়ের চেয়ে এবার প্রয়াগরাজে আসার ট্রেনের বুকিং বেড়েছে ১৮৭ শতাংশ।

প্রয়াগরাজে থাকার জায়গা পেতেও কালঘাম ছুটছে পুণ্যার্থীদের। একটি তাঁবুর জন্য প্রতি রাতে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পড়ছে। লাক্সারি তাঁবুর জন্য প্রতিরাতে ১ লক্ষ টাকাও দিতে হচ্ছে। লাক্সারি হোটেলগুলিতে একরাত থাকার জন্য ১১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও তা ৪০ হাজারও। আইআরসিটিসি-র মহাকুম্ভ গ্রাম ও UPSTDC-র টেন্ট কলোনিতে একরাত থাকার জন্য সাধারণ রুম থেকে ডিলাক্স পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। গতবছরের এই সময়ের চেয়ে প্রয়াগরাজে হোটেল বুকিং ১০ গুণ বেড়েছে। মহাকুম্ভ মেলার গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলির জন্য ৮৫ শতাংশের বেশি হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ মেলা। হোটেলগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।