
কলকাতা: শহরের দায়িত্ব নেবে হিমাচলের নেতা। জেলা স্তরেও রয়েছে জোন ভিত্তিক ভাগাভাগি। বছর ঘুরলেই বাংলায় বাজবে ভোটের দামামা। তার আগে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। গত কয়েক মাস ধরে দলীয় স্তরে পরপর বৈঠক সেরেছে তাঁরা। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জুড়েছে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। তবে এটাই শেষ নয়। ভোটের কাজে বাংলায় আরও ‘সেনা’ আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বাংলায় আসছেন বিজেপির ১ হাজার নেতা। এনাদের সেনাপতি বললেও ভুল হবে না। কারণ বঙ্গ বিজেপির প্রতিটি স্তরের সাংগঠনিক ও নির্বাচনী কাঠামোকে পোক্ত রাখার কাজটা তাঁদেরই। কিন্তু কবে আসবেন এই নেতারা? জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। কাজেও লেগে পড়েছেন। তবে তাঁরা মুষ্টিমেয়। তালিকাভুক্ত সিংহভাগ নেতা আসতে চলেছেন ডিসেম্বর থেকে।
চেনা মুখ কি থাকছেন? রাজনীতির আঙিনায় তাঁদের পরিচিতি থাকলেও, বাংলা ও বাঙালির কাছে এই নেতারা একটু অচেনা। আর এই অস্ত্রেই তো বরাবর শান দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ বলে দাগাতে এই অচেনা মুখদের আগমনকেই আধার করেছে রাজ্যের শাসকশিবির। অবশ্য়, এই নিয়ে বিজেপিরও একটা যুক্তি রয়েছে। তাঁদের সাফ কথা, বিজেপি সর্বভারতীয় দল। সুতরাং ভোট হলে দলের কাজে অন্য রাজ্য থেকে নেতা আসবেন এটাই স্বাভাবিক। আর এই নীতি যে শুধু বাংলা ক্ষেত্রে এমন নয়। সব রাজ্যের একই মডেল।
সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচনে কলকাতা জোনের দায়িত্ব নিতে চলেছেন হিমাচলের নেতা এম সিদ্ধার্থনন ও কর্নাটকের সিটি রবি। উত্তর ২৪ পরগনার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্বে থাকবেন অন্ধ্রের এন মধুকর, উত্তরপ্রদেশের সুরেশ রানা। মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে থাকছেন উত্তরপ্রদেশের নেতা জে পি এস রাঠোর। এছাড়াও আসতে চলেছেন কৈলাশ চৌধুরী, অনন্ত মিশ্র, অরুন বিন্নাদি, পবন সাই, পবন রানার মতো নেতারাও। আর সর্বোপরি নজরদারির কাজে থাকবেন সুনীল বনশাল, ভূপেন্দ্র যাদবরা। সহযোগিতা করবেন বিপ্লব দেব। তবে এই জোন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেনি গেরুয়া শিবির। প্রয়োজনে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল ঘটাতে পারে তাঁরা।