
কলকাতা: শববাহী গাড়ি থেকে বেরচ্ছে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের দেহ। তিনি দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম স্বামীর সন্তান। বছর সাতাশের ছেলেটার মৃত্যু যেভাবে কষ্ট দিচ্ছে রিঙ্কুকে, তেমনই নাড়িয়ে দিয়েছে দিলীপকেও। হাতে সাদা ফুলের মালা নিয়ে শ্মশানে দাঁড়িয়ে তিনি। সৃঞ্জয়ের দেহ গাড়ি থেকে বেরতেই মালা দিলেন। হাতজোড় করে প্রণাম করলেন। তিনিও যে ভেঙে পড়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা সৃঞ্জয়ের অন্তিম কাজের জন্য় দেহ এসে পৌঁছয় শ্মশানে। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় রিঙ্কুকে। পৌঁছন দিলীপও। ধীরে ধীরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বললেন, “আমরা তো কল্পনাও করতে পারছি না কী হল…।” তারপর খানিক থামলেন। বললেন, “ওর মা রান্না করছিল। ফোন এল। তারপর সেই অবস্থায় দৌড়ে চলে গেল।” বিজেপি নেতার কথা শুনে পরিষ্কার বোঝা গেল তিনি কিছু বলার মতো অবস্থাতেই নেই।
ধীরে-ধীরে এ দিন দিলীপ বললেন তাঁর সঙ্গে সৃঞ্জয়ের সম্পর্কের সমীকরণ। একসঙ্গে কত স্মৃতি রয়েছে তাঁদের সে কথা বলে ফেললেন বারেবারে। খেলা দেখতে গিয়েছেন। একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করেছেন…সব-সবকিছু আস্তে-আস্তে বললেন তিনি। বিজেপি নেতার কথায়, “সর্বগুণসম্পন্ন ছেলে। আমিও সন্দেহ করিনি এমন হবে। এর কোনও বর্ণনা হয় না। আমায় খুব ভালবাসত। আমি তো ওকে খেলা দেখাতেও নিয়ে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য আমার পুত্র-সুখ হল না, পুত্র-শোক হল।” উল্লেখ্য, পঁচিশ দিন আগেই বিয়ে করেছিলেন রিঙ্কু আর দিলীপ। সেই সময় মায়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। আজ সোমবার উদ্ধার হয় সৃঞ্জয়ের দেহ। যা মেনে নিতে পারছেন না দিলীপ।